Finance
চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম, তবে পাম্প মালিকরা বলছেন তেলের সংকট নেই
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ৬ আগস্ট ২০২২: আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় লোকসান বেড়েছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি)। বিদ্যুৎ উৎপাদনে ভর্তুকি কমিয়ে আনতে সিডিউল করে লোডশেডিং করছে সরকার। এরই মধ্যে দেশের তেলের সংকট নিয়ে নানা গুঞ্জণও চলছে। সরকারের পক্ষ থেকে তেল মজুত আছে এমন কথা বারবার বলা হলেও বাস্তব চিত্র ভিন্ন। কয়েকদিন আগে পাম্পে নির্দিষ্ট পরিমাণে তেল দেওয়া হবে এমন নোটিশে সারাদেশে তেল সংকটের গুঞ্জণ তৈরি হয়। অন্যদিকে, দাম বাড়ার নতুন ঘোষণায় তেল মজুতের প্রশ্ন আরও ঘনীভূত হয়েছে।
এ বিষয়ে পাম্প মালিকরা বলছেন, তারা তেল পাচ্ছেন। এ মুহূর্তে তেলের চাহিদা ও সরবরাহে কোনো ঘাটতি নেই।
শনিবার (৬ আগস্ট) রাজধানীর উত্তর বাড্ডা এলাকার আল-মক্কা পাম্পের অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার বলেন, এ মুহূর্তে তেলের কোনো সংকট নেই। তারা স্বাভাবিকভাবেই তেল পাচ্ছেন। কর্তৃপক্ষের কাছে যতটুকু চাচ্ছেন ততটুকুই পাচ্ছেন। কোনো ঘাটতি থাকছে না বলেও জানান তিনি।
তবে, চাহিদা অনুযায়ী তেল পাচ্ছেন না বলে জানান মালিবাগ অটো সার্ভিস পাম্পের ম্যানেজার মো. নুরুল ইসলাম। তিনি বলেন, তেল আসছে ঠিকই, তবে একটু কম। আগে আমাদের প্রতিদিন এক লরির বেশি লাগতো। কিন্তু এখন এক লরির বেশি পাই না। সরকার বলছে, যে তেল আছে, কিন্তু আমাদের কাছে এক লরির বেশি চাহিদা থাকলেও পাচ্ছি না।
তিনি বলেন, এখন একটু চাহিদা বেশি। অনেকেই বেশি করে নিচ্ছেন। অনেকে মনে করছেন তেল পাওয়া যাবে না। চাহিদা বেশি, কিন্তু পরিমাণ আগের মতোই পাচ্ছি। আগে দুই লরি আসতো। এখন এক লরি আসে।
মালিবাগ অটো সার্ভিসের মালিক মো. জাকির হোসেন বলেন, ‘তেল যা চাচ্ছি, তাই পাচ্ছি। কিন্তু বিক্রি বেড়েছে। তাই পাম্পগুলোতে কিছুটা সংকট মনে হচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে তেলের সংকট নেই।’
তাহলে যা চাচ্ছেন তাই পাচ্ছেন কীভাবে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এখন তেলের চাহিদা বাড়ছে। বৃহস্পতিবার আমাকে তিনদিনের তেল নিতে হয়। ধরুন, তিনদিনের তেল আমি নিলাম। স্বাভাবিক চাহিদার তুলনায় প্রতিদিন যদি আমার এক হাজার লিটার তেল বেশি বিক্রি হয়, তাহলে তো পাম্পে কিছুটা সংকট দেখা যাবে।