Finance
১২ বছরে দেশে সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি ৯.৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ৬ অক্টোবর ২০২২ : মহামারি করোনাভাইরাসের ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টায় বিশ্ব। ঠিক সেই সময়ে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। মহামারি ও যুদ্ধের নেতিবাচক প্রভাব বিশ্ব অর্থনীতিতে। আন্তর্জাতিক বাজারে বেড়ে যায় জ্বালানি তেলের দাম। লাগামহীন হয়ে পড়ে খাদ্যপণ্যের বাজারও। এর প্রভাব পড়ে বাংলাদেশেও। গত ৫ আগস্ট জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় সরকার। জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির ঘোষণার পরপরই বেড়ে যায় প্রায় সব নিত্যপণ্যের দামও। এরপর সামনে আসে দেশের মূল্যস্ফীতির তথ্য, যা এখন পর্যন্ত বেড়েই চলেছে।
জুলাইয়ে মূল্যস্ফীতির হার হয় ৭ দশমিক ৪৮ শতাংশ। আগস্টে তা বেড়ে হয় ৯ দশমিক ৫ শতাংশ, যা গত ১২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। সর্বশেষ ২০১০-১১ অর্থবছরে দেশের গড় মূল্যস্ফীতির হার ছিল ১০ দশমিক ৯২ শতাংশ। এরপর আর কখনো এ সূচক ৯ শতাংশের ওপরে ওঠেনি।
সেপ্টেম্বর মাসে মূল্যস্ফীতির হার কিছুটা কমে ৯ দশমিক ১ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। এটিকে ‘সুখবর’ বলে মনে করছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। সামনে আরও সুখবর আছে অর্থাৎ আরও মূল্যস্ফীতি কমবে বলে মনে করছেন মন্ত্রী।
তবে মূল্যস্ফীতি শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ কমলেও তাতে বাজারে তেমন কোনো প্রভাব পড়েনি। এখনো বিপাকে দেশের সাধারণ মানুষ। ৯ শতাংশের ওপরে থাকা এ মূল্যস্ফীতির আগুন সইতে পারছেন না ক্রেতারা। বিশেষ করে যাদের আয় গত কয়েকবছর ধরে একই জায়গায় রয়েছে, তারা নিদারুণ কষ্টে দিনাতিপাত করছেন।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ভোক্তা মূল্যসূচকের (সিপিআই) হালনাগাদ প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে। তবে আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসের মূল্যস্ফীতির তথ্য এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করেনি বিবিএস ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়।
বিবিএসের একটি সূত্রে জানা গেছে, গত আগস্টে মূল্যস্ফীতির হার ৯ দশমিক ৫ শতাংশ। আর সেপ্টেম্বরে ৯ দশমিক ১ শতাংশ। এর অর্থ হলো- গত বছরের সেপ্টেম্বরে দেশের মানুষ যে পণ্য বা সেবা ১০০ টাকায় পেয়েছিলেন, এ বছর সেপ্টেম্বরে তা কিনতে ১০৯ টাকা ১০ পয়সা খরচ করতে হয়েছে। আর গত বছরের আগস্টে যে পণ্য বা সেবা ১০০ টাকায় পেয়েছিলেন, তা পেতে এ বছরের আগস্টে খরচ হয়েছে ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা।
তবে মূল্যস্ফীতির হার আগামী দিনে কমবে বলে আশ্বস্ত করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। এটিকে তিনি দেশবাসীর জন্য ‘সুখবর’ বলেও মনে করছেন।
এম এ মান্নান বলেন, ‘একটি সুখবর আছে। মূল্যস্ফীতির পাগলাঘোড়ার লাগাম টানা সম্ভব হয়েছে। আগস্টে মূল্যস্ফীতি বেড়েছিল। কিন্তু সেপ্টেম্বরে সেটি কমেছে। এর কারণ হচ্ছে এক কোটি ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে চার কোটি মানুষ সুবিধা পাচ্ছে।