Finance

অবশেষে সোনামসজিদ ও হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি শুরু
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ৫ জুন ২০২৩: দেশে পর্যাপ্ত পেঁয়াজ উৎপাদন হওয়ায় আমদানি বন্ধ রেখেছিল সরকার। পর্যাপ্ত মজুত থাকলেও শুধুমাত্র আমদানি বন্ধের অজুহাতে কয়েক মাস ধরে পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতা দেখা দেয়। দুই মাসের ব্যবধানে আড়াই থেকে তিনগুণ বেড়ে যায় পেঁয়াজের দাম। বিভিন্ন বাজারে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর এবং ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানেও পেঁয়াজের দামের লাগাম টানা যায়নি।
অবশেষে রোববার সরকার পেঁয়াজ আমদানির ঘোষণা দেয়। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার বিকেল থেকে দেশের অন্যতম বৃহত্তম স্থলবন্দর সোনামসজিদ এবং হিলি দিয়ে শুরু হয়েছে পেঁয়াজ আমদানি। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সোনামসজিদ বন্দরে এবং বিকেল ৫টা ৪০ মিনিটের দিকে হিলিতে পেঁয়াজবাহী ট্রাক প্রবেশ করেছে।
সোনামসজিদ স্থলবন্দর কাস্টমসের সহকারী কমিশনার প্রভাত কুমার সিংহ জানান, বিকেল থেকে পেঁয়াজবাহী ট্রাক প্রবেশ শুরু করেছে। আইপি অনুমোদন পাওয়া নথিপত্র পেলেই ট্রাক প্রবেশের অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে সোমবার বিকেল ৫টা ৪০ মিনিটের দিকে পেঁয়াজবোঝাই দুটি ট্রাক হিলিতে প্রবেশের মধ্যে দিয়ে আমদানি শুরু হয়। এন আলম এন্টারপ্রাইজ নামের একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান পেঁয়াজগুলো আমদানি করছেন।
এর আগে দেশীয় কৃষকের উৎপাদিত পেঁয়াজের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতেই চলতি বছরের ১৫ মার্চ থেকে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ করে সরকার। হিলি স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপসহকারী সংগনিরোধ কর্মকর্তা ইউসুফ আলী বলেন, সোমবার দুপুরে হিলির ৭ জন আমদানিকারক ১৮ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি পেয়েছেন। এরা হলেন, সততা বাণিজ্যালয়, রায়হান ট্রেডার্স, এন আলম ট্রেডার্স, সালাম ট্রেডার্স, সালেহা ট্রেডার্স, বিকে ট্রেডার্স ও বিএস ট্রেডিং।
জানতে চাইলে হিলি আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশীদ বলেন, দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম স্বাভাবিক রাখতে আজ কৃষি মন্ত্রণালয়ের খামারবাড়ি থেকে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানির জন্য অনুমতিপত্র দিয়েছে। এরইমধ্যে ব্যবসায়ীরা এলসি করেছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা যে পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানির এলসি করছেন সেসব পেঁয়াজ এলে বর্তমান বাজারে পেঁয়াজের যে দাম তা অর্ধেকে নেমে আসবে।