Finance

অর্থনৈতিক অঞ্চলে সৌদিকে জমির প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ১১ মার্চ ২০২৩ : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সৌদি আরবের জন্য বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে (এসইজেড) জমির প্রস্তাব দিয়েছেন এবং বাংলাদেশে তেলসমৃদ্ধ দেশটির আরও বিনিয়োগ কামনা করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশে আরও সৌদি বিনিয়োগ চাই’।
প্রধানমন্ত্রী শুক্রবার সন্ধ্যায় তার সরকারি বাসভবন গণভবনে সফররত সৌদি বাণিজ্যমন্ত্রী ডাঃ মাজিদ বিন আবদুল্লাহ আলকুসাবির নেতৃত্বে নয় সদস্যের সৌদি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এ অনুরোধ জানান।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। প্রধানমন্ত্রী অপরিশোধিত তেলসহ সব ধরনের তেল পরিশোধনে বাংলাদেশে তেল শোধনাগার স্থাপনের জন্য সৌদি আরবের প্রতি আহ্বান জানান। তারা পারস্পরিক স্বার্থে উভয় দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা করেন।
সৌদি মন্ত্রী বলেন, তার দেশের প্রধান বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী, বিশেষ করে নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে। এ প্রেক্ষাপটে তিনি আমলাতান্ত্রিক বিলম্বের সমাধান করে বাংলাদেশে বিনিয়োগ প্রক্রিয়া সহজ করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানান। জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি ইতিমধ্যেই সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের আমলাতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সহজ ও দ্রুত করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেছেন। প্রতিবেশী দেশগুলিতে বিশাল বাজার রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তার সরকার জলপথসহ সকলপ্রকার সংযোগ স্থাপনের মাধ্যমে পণ্য পরিবহন সহজ ও দ্রুত করার জন্য কাজ করছে।
তিনি আরো বলেন, তারা নৌপথের নাব্যতা বাড়াতে নদী ড্রেজিং করছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার সৌদি আরবে যাওয়ার আগে বাংলাদেশি শ্রমিকদের আরবি ভাষা ভালোভাবে জানার সুবিধার্থে একটি আরবি ভাষা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করতে চায়।
তিনি বলেন, তার দেশ সৌদি যুবরাজকে অভ্যর্থনা জানানোর জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে।
সৌদি মন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীকে ওমরাহ পালনের আমন্ত্রণ জানান। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি ও উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন। প্রধানমন্ত্রীও সৌদি আরবের দ্রুত উন্নয়নের প্রশংসা করেন।
রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে কথা বলতে গিয়ে সৌদি মন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘মাদার অব হিউম্যানিটি’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন। বাংলাদেশে সৌদি বিনিয়োগের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশের সাথে ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে আমাদের অভিজ্ঞতা বিনিময় করতে পারি।
তিনি বলেন, গত ১০ মাসে ৬ লাখ ৫০ হাজার বাংলাদেশি চাকরিপ্রার্থী সৌদি গেছেন।