Finance
বিদেশী তহবিল সংগ্রহের তাগিদ প্রধানমন্ত্রীর
ঢাকা, ২১ জুন ২০২৩ : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রকল্পের অর্থায়ন নিশ্চিত করতে দেশীয় উৎসের তহবিলের পাশাপাশি বৈদেশিক তহবিল সংগ্রহের উপর গুরুত্ব দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন, বৈদেশিক অর্থায়নপুষ্ট প্রকল্প নির্ধারিত সময়ে বাস্তবায়নের প্রবণতা বৃদ্ধি পেলে বিদেশী ঋণ বিতরণ বাড়বে, যা প্রকৃতপক্ষে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ পরিস্থিতি সমৃদ্ধ করবে। মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলানগর এনইসি সভাকক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় তিনি এ নির্দেশনা দেন। প্রধানমন্ত্রী সভায় সভাপতিত্ব করেন।
বৈঠকের পর সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, প্রধানমন্ত্রী অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি), এনবিআর এবং অর্থ বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে উন্নয়ন প্রকল্পে অর্থায়নের ক্ষেত্রে আরও বেশি বৈদেশিক তহবিল এবং বৈদেশিক ঋণ ব্যবহৃত হয়, তা নিশ্চিত করতে বলেছেন। মান্নান বলেন, উন্নয়ন সহযোগি যেমন বিশ্বব্যাংক, এডিবি এবং জাইকা বাংলাদেশকে বাজেট সহায়তাসহ অন্যান্য সহায়তা দিতে প্রস্তুত রয়েছে। কিন্তু সরকার কেবলমাত্র তার প্রয়োজন মোতাবেক ও সামর্থ্য অনুযায়ী সহায়তা নেবে।
এ সময় পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম জানান, ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও অধিক বৈদেশিক সহায়তা বর্তমানে পাইপলাইনে রয়েছে।
পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, মঙ্গলবার একনেক সভায় মোট ১৬টি প্রকল্পের চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়, যার বাস্তবায়ন ব্যয় ধরা হয়েছে ২৪ হাজার ৩৬২ কোটি ১৪ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ১২ হাজার ৮৭৩ কোটি ১১ লাখ টাকা, বৈদেশিক অর্থায়ন ১১ হাজার ৪৭২ কোটি ৮৮ লাখ টাকা ও সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ১৬ কোটি ১৫ লাখ টাকা। অনুমোদন পাওয়া ১৬ প্রকল্পের মধ্যে ৮টি নতুন এবং ৮টি সংশোধিত প্রকল্প রয়েছে।
পরিকল্পনা মন্ত্রী বিসিএস কর একাডেমির অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের কথা উল্লেখ করে বলেন, এই অবকাঠামো নির্মাণের ক্ষেত্রে কম জমি ব্যবহারের জন্য প্রধানমন্ত্রী বাস্তবায়নকারি সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে নির্দেশ প্রদান করেন।
পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেন, দেশীয় উৎসের তুলনায় বিদেশী ঋণের সুদহার কম হওয়ায় বিদেশী অর্থায়ন ব্যবহার করার ক্ষেত্রে সরকার তার সক্ষমতার সর্বোচ্চটুকু করতে পারে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের বিদেশী ঋণ ও জিডিপি অনুপাত এখনও বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় কম, যেকারণে আমরা আরও বেশি বিদেশী ঋণ নিতে পারি।