Finance
ডিসেম্বরে সঞ্চয়পত্র বিক্রির চেয়ে পরিশোধ বেশি
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ : উচ্চ মূল্যস্ফীতি চলছে বিশ্বব্যাপী। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দর বেড়েছে কয়েকগুণ। এতে ক্রয়ক্ষমতা হারিয়েছেন অনেকেই। সারাবিশ্বে চলা এ সংকটের ব্যতিক্রম নয় বাংলাদেশও। গত ডিসেম্বরে দেশে খাদ্য মূল্যস্ফীতি কমে ১০ শতাংশের নিচে আসলেও এসময়ে বেড়েছে খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি। এসব বিবেচনায় এখন বড় চ্যালেঞ্জ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ। ফলে সংকট থাকলেও কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ঋণ নিচ্ছে না সরকার। এতে অভ্যন্তরীণ খাত থেকে ঋণ নেওয়া কমলেও আগের ঋণ ও সুদ পরিশোধের চাপ থেকেই যাচ্ছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদন বলছে, সদস্য বিদায়ী বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরে সঞ্চয়পত্রের নিট বিক্রির পরিমাণ ছিল ২ হাজার ২০৪ কোটি ৩২ লাখ টাকা ঋণাত্মক। অর্থাৎ সঞ্চয়পত্রের ঋণ ও সুদ পরিশোধের চেয়ে এই সময়ে কম বিক্রি হয়েছে। অথচ চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম দুই মাস জুলাই ও আগস্টে সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ বেড়েছিল। প্রথম মাস জুলাইয়ে নিট বিক্রির পরিমাণ ছিল ৩ হাজার ২৫০ কোটি টাকা। পরের মাস আগস্টে নিট বিক্রির পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৩১২ কোটি ৩৩ লাখ টাকা।
অর্থবছরের তৃতীয় মাস সেপ্টেম্বরে নিট বিক্রি ফের ঋণাত্মক ধারায় ফেরে। মাসটিতে সঞ্চয়পত্র বিক্রি থেকে সরকার যে পরিমাণ ধার করেছিল, তার চেয়ে ১৪৮ কোটি টাকা বেশি ব্যয় করতে হয়েছে সুদ পরিশোধে। তথ্য বলছে, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম ছয় (জুলাই-ডিসেম্বর) মাসে সঞ্চয়পত্রের নিট বিক্রির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৬৩ কোটি টাকা ঋণাত্মক। অর্থাৎ আলোচিত সময়ে যে পরিমাণ সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে তার চেয়ে বেশি আগে বিক্রি হওয়া সঞ্চয়পত্রের সুদ-আসল বাবদ পরিশোধ করেছে সরকার। অতিরিক্ত অর্থ কোষাগার অথবা ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে ঋণ নিয়ে পরিশোধ করতে হয়েছে।