Finance
ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ ১৬ বিলিয়ন ডলারের কম
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ২৮ নভেম্বর ২০২৩ : দেশে ডলারের যে সংকট শুরু হয়েছিল রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর, সেই সংকট এখনো কাটেনি। ডলার সংকটে দিন দিন কমছে দেশের রিজার্ভ। বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভের যে হিসাব প্রকাশ করেছে গত সপ্তাহে, ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ তার চেয়ে অনেক কম।
২০২১ সালের আগস্টে, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ ছিল ৪,৮০০ কোটি ডলার ($৪৮ বিলিয়ন)। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, এটি কমে ২,৫১৬ কোটি ডলার ($২৫.১৬ বিলিয়ন) হয়েছে। তবে, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এর বিপিএম ৬ হিসাবপদ্ধতি অনুযায়ী, রিজার্ভের পরিমাণ $১,৯৫২ কোটি ($১৯.৫২ বিলিয়ন)।
গত বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইটে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়। কিন্তু এই অর্থের সবটাই ব্যবহারযোগ্য নয়। আইএমএফ বাংলাদেশ ব্যাংককে রিজার্ভের সঠিক হিসাব রাখার পরামর্শ দিয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, দেশের ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ এখন ১৬ বিলিয়ন ডলারের নিচে।
২০২২ সাল থেকে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী জ্বালানি, ভোগ্যপণ্য এবং পরিবহন খাতে খরচ বেড়েছে। ফলে অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের আমদানি ব্যয় আগের তুলনায় অনেক বেড়ে যায়। তবে সে তুলনায় দেশে বৈদেশিক মুদ্রার প্রবাহ বাড়েনি। আমদানির জন্য ডলারের বর্ধিত চাহিদা বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের উপর চাপ সৃষ্টি করে। কারণ, জরুরি জ্বালানি, খাদ্যপণ্য, রাসায়নিক সারসহ বিভিন্ন পণ্য আমদানির দায় মেটাতে বাংলাদেশ ব্যাংককে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করতে হয়।