Muktijudho
![ঐতিহাসিক মুজিব নগর দিবস উদযাপিত ঐতিহাসিক মুজিব নগর দিবস উদযাপিত](https://www.bangladeshlivenews.com/news_pic/2022/8ea24ed200e97e373d3851f9fc73dbd1.jpg)
ঐতিহাসিক মুজিব নগর দিবস উদযাপিত
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ১৮ এপ্রিল ২০২২: নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে রোববার রাজধানী ঢাকা ও মেহেরপুরসহ সারাদেশে ঐতিহাসিক মুজিব নগর দিবস উদযাপিত হয়েছে।
দিবসটি উপলক্ষে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, আলোচনা সভা, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন, গার্ড অব অনার প্রদান, কুচকাওয়াজ প্রদর্শনসহ বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসে সৃষ্ট সংকটের কারণে ঐতিহাসিক এই দিনটিতে ব্যাপক জনসমাগম এড়িয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় সীমিত পরিসরে পালন করা হয়।
দিবসটি বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে অনন্য এক দিন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে এদিন মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলা গ্রামের আ¤্রকাননে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ গ্রহণ করে। পরে এই বৈদ্যনাথতলাকেই ঐতিহাসিক মুজিবনগর নামকরণ করা হয়।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে হিংস্র পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালির ওপর বর্বরোচিত হামলা চালানোর পর একই বছরের ১০ এপ্রিল আনুষ্ঠানিকভাবে সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্র রূপে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠা ঘোষণা করা হয়।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করা হয়। বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে সৈয়দ নজরুল ইসলামকে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি এবং তাজউদ্দিন আহমেদকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। এই অস্থায়ী সরকারের সফল নেতৃত্বে ১৬ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জিত হয়।
মুজিব নগর দিবস উপলক্ষে সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
পরে ওবায়দুল কাদের দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দকে সঙ্গে নিয়ে আওয়ামী লীগের পক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
এদিকে মেহেরপুরে ঐতিহাসিক মুজিবনগর সৃতিসৌধের পাদদেশে শেখ হাসিনা মঞ্চের পাশে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্যে দিয়ে ১৭ এপ্রিল ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসের সূচনা করা হয়েছে। সূর্যদ্বয়ের সাথে সাথে আনুষ্ঠানিক ভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। পতাকা উত্তোলন শেষে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় ১ মিনিট নিরাবতা পালন ও দোয়া করা হয়। এরপরই পুলিশ, বিজিবি, আনসার, মুক্তিযোদ্ধা, ভিডিপি, বিএনসিসি, স্কাউট, গালসগাইডসহ স্কুলের শিক্ষার্থীদের সম্বন্বয়ে গার্ড অব অনার ও কুচকাওয়াজ প্রদর্শন করা হয়।