Muktijudho
২১ বছর মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট লুকিয়ে রাখতে হয়েছিল : গোলাম দস্তগীর
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ২৬ আগস্ট ২০২৩ : বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর দীর্ঘ ২১ বছর মুক্তিযোদ্ধারা তাদের সার্টিফিকেট প্রদর্শন করতে পারেননি বলে মন্তব্য করেছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক।
তিনি বলেন, যখন স্বাধীনতা বিরোধীরা ক্ষমতায় ছিল, আমাদের মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট লুকিয়ে রাখতে হয়েছিল। মুক্তিযোদ্ধার কথা বললে চাকরি দেওয়া হতো না। এসময় মুক্তিযোদ্ধাদের ওপর হামলার পর হামলা হয়েছে।
শুক্রবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড আয়োজিত আলোচনা সভা ও জেলা কনভেনশনে এসব কথা বলেন তিনি। এতে ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নই আমাদের অঙ্গীকার’ স্লোগানে চাকরিতে কোটা পুনর্বহাল ও দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে সরকার গঠনে মুক্তিযুদ্ধের ধারা অব্যাহত রাখার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়।
আবারও স্বাধীনতা বিরোধীরা সংগঠিত হচ্ছে জানিয়ে গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক বলেন, যেসব দেশ মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় আমাদের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিল, স্বাধীনতা বিরোধীরা তাদের সঙ্গে আবার হাত মিলিয়ে ষড়যন্ত্র করছে।
তিনি বলেন, স্বাধীনতা বিরোধী চক্র আবারও শেখ হাসিনাকে উৎখাতের ষড়যন্ত্র করছে। মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানরা এখন যুবক, তাদের এ ষড়য়ন্ত্র নামক রাজনৈতিক যুদ্ধ বানচাল করতে হবে। কারণ আমাদের বয়স হয়েছে। এ রাজনৈতিক যুদ্ধে যদি সফল না হন তবে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের কোনো দাবি আদায় হবে না। মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের সদস্য সংখ্যা বাড়াতে হবে। জেলায় জেলায় এ ধরনের আয়োজন করতে হবে।
পাটমন্ত্রী আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে আমাদের মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের প্রথম সম্মেলনে উপস্থিত হয়েছিলেন। এটি ছিল একটি ঐতিহাসিক দিন। পঁচাত্তরের আগস্টে আমরা তাকে হারিয়েছি। দীর্ঘদিন পর বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসলেন। আমরা মুক্তিযোদ্ধারা আলোর মুখ দেখতে পেলাম।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, আগস্টে আমরা যাদের স্মরণ করি, তাদের আদর্শ বাস্তবায়নের জন্য সবাইকে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ থাকতে হবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের যে স্বপ্ন ছিল, তা বাস্তবায়নের জন্য পরবর্তী প্রজন্মকে কাজ করতে হবে। এ স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য আজ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানরা সমবেত হয়েছেন। মনে রাখতে হবে, এদেশে রাজাকারদের সন্তানও রয়েছে। রাজকারের সন্তানরা স্বাধীনতার বিরুদ্ধে, সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।
স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র রচয়িতা মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক বীর মুক্তিযোদ্ধা ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলাম এই কনভেনশনের উদ্বোধন করেন।