Muktijudho
নয়াদিল্লি মিশনে বীর মুক্তিযোদ্ধা-বিশিষ্টজনদের সংবর্ধনা
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ৩০ মার্চ ২০২২: বাংলাদেশের ৫২তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধা, কূটনীতিক, বিশিষ্টজন ও সাংবাদিকদের সংবর্ধনা দিয়েছে ভারতের নয়াদিল্লি হাইকমিশন। সোমবার সন্ধ্যায় হাইকমিশনার মুহাম্মদ ইমরানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন ভারতের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ড. রাজকুমার রঞ্জন সিং।
অনুষ্ঠানে ড. রাজকুমার সিং বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি, শান্তি ও স্থিতিশীলতা বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থ রক্ষাই করছে না, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের উন্নয়নেও এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
তিনি বলেন, ভারত-বাংলাদেশের মধ্যকার সম্পর্ক একটি সুবর্ণ অধ্যায়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, কারণ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ গত বছর যথাক্রমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বাংলাদেশ সফর করেছেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শুধু বাংলাদেশের স্বাধীনতার মহানায়কই নন, ভারতেও বীর হিসেবে বিবেচিত।
দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ককে আরও জোরদার করার বিষয়ে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশিদের অর্থনৈতিক অগ্রগতির অংশীদার হতে পেরে ভারত গর্বিত।
এসময় বাংলাদেশের হাইকমিশনার মুহাম্মদ ইমরান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে সহযোগিতার সম্ভাব্য সব ক্ষেত্রের একটি ব্যাপক অংশীদারত্বের মাধ্যমে বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্ক একটি সোনালী অধ্যায়ে পৌঁছেছে।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদানের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বের বন্ধন বছরের পর বছর ধরে নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। তিনি বলেন, উন্নত যোগাযোগ ও উভয় পক্ষের ভিসা ব্যবস্থায় সহজ করার কারণে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে জনগণের যোগাযোগ বহুগুণ বেড়েছে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর বাদ্যযন্ত্রী দলের সুরে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়। এ উপলক্ষে সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার আয়োজন ছাড়াও কেক কাটা হয়।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন ভারতের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মীনাক্ষী লেখি। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে চ্যান্সারি ও বাংলাদেশ হাউস, হাইকমিশনারের বাসভবনে আলোকসজ্জা করা হয়।