Muktijudho

একে একে সব বীর মুক্তিযোদ্ধাদের হারিয়ে ফেলছি: প্রধানমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা, ৩১ মে ২০২৩: চিত্রনায়ক আকবর হোসেন পাঠানের মৃত্যুতে সংসদে শোক জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারপ্রধান জানান, ফারুক ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে ছাত্র জীবনে আইয়ুব বিরোধী আন্দোলনে ভূমিকা রেখেছেন। নিষ্ঠা ও সাহসের সঙ্গে প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে অবদান রেখেছেন। দুঃখজনক হচ্ছে আমরা একে একে সব মুক্তিযোদ্ধাদের হারিয়ে ফেলছি।
বুধবার (৩১ মে) জাতীয় সংসদে শোক প্রস্তাবের ওপর বক্তব্যে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। সরকারি দলের এই সংসদ সদস্যের মৃত্যুতে সংসদে আনা শোক প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে গ্রহণ করেছে সংসদ। এর আগে, সংসদে উত্থাপিত শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনা হয়। প্রধানমন্ত্রী সংসদ নেতা শেখ হাসিনা আলোচনায় অংশ নেন। পরে রেওয়াজ অনুযায়ী সংসদের বৈঠক মুলতবি করা হয়।
শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি এভাবে চলে যাবেন তা কখনো ভাবিনি। আল্লাহ পরিবারকে এই শোক সইবার ক্ষমতা দিক। গভীর শোক ও পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে তিনি বলেন, কেবল রাজনীতি নয় আমাদের সাংস্কৃতিক জগতে তার অবদান রয়েছে। তার মৃত্যু সংস্কৃতি অঙ্গনে বিরাট ক্ষতি হয়েছে। প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে আমরা সাংস্কৃতিক কর্মীদের পাশে পেয়েছি। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর যখন তার নাম নিতেই কেউ যখন সাহস পাচ্ছিলেন না তখন সাংস্কৃতিক কর্মীরা এগিয়ে এসেছিলেন। স্বাধীনতার চেতনাকে সামনে নিয়ে আসার ক্ষেত্রে ফারুক ভূমিকা রেখেছেন।
প্রধানমন্ত্রীর দাদি সায়েরা খাতুন ১৯৭৪ সালের ৩১ মে মৃত্যুবরণ করেছিলেন উল্লেখ করে এ দিনে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এ দিনে তিনি সবার কাছে তার জন্য দোয়া কামনা করেন এবং বলেন, আমার দাদি জন্ম দিয়েছিলেন শেখ মুজিবুর রহমানকে। যিনি এনে দিয়েছেন আমাদের স্বাধীনতা। এজন্যই আজকে আমরা স্বাধীন জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছি। তিনি বলেন, চলতি সংসদে আমরা এত সংখ্যক সংসদ সদস্য হারিয়েছি, যা অতীতে কখনো ঘটেনি।
পরে আকবর হোসেন পাঠানসহ মৃত্যুবরণকারীদের আত্মার শান্তি কামনা করে দোয়া মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করে মাওলানা রুহুল আমিন মাদানী।