South Asia

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বিশ্ব সম্প্রদায়ের সহায়তা কামনা বাংলাদেশের
নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি, ৪ মার্চ ২০২৩ : সেনা নিপীড়নের মুখে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের নিজ দেশ মিয়ানমারে ফেরাতে জি-২০ নেতৃবৃন্দসহ বিশ্ব সম্প্রদায়কে সহায়তার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে বিশ্বের বৃহৎ অর্থনীতির দেশগুলোর জোট জি২০’র চলমান সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে এ আহ্বান জানান। বৃহস্পতিবারের (২ মার্চ) এ বৈঠকে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর সভাপতিত্ব করেন।
বর্তমানে জি২০ জোটের প্রেসিডেন্টের দায়িত্বে আছে ভারত। গত সপ্তাহে দেশটিতে হয়ে গেলো জি-২০ অর্থনৈতিক জোটের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলন।
ড. মোমেন বলেন, বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের সহায়তার পাশাপাশি তাদের জীবন বাঁচাতে এবং জনগণকে অমানবিক সংকট থেকে রক্ষা করতে যে কোনো জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় বাংলাদেশ প্রস্তুত রয়েছে। তিনি কোভিড-১৯ মহামারিকালে কয়েকটি প্রতিবেশী দেশের প্রতি বাংলাদেশের সমর্থনের কথা উল্লেখ করেন।
ওইদিন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর রেকর্ড করা ভিডিও ভাষণ দিয়ে অধিবেশন শুরু হয়। সন্ধ্যায় আড়ম্বরপূর্ণ নৈশভোজের পর শুরু হওয়া বৈঠকে বাংলাদেশসহ বিশেষভাবে আমন্ত্রিত নয়টি দেশ এবং ১৩টি আন্তর্জাতিক সংস্থাসহ ৪০টিরও বেশি প্রতিনিধিদল যোগ দেয়।
এবারের অধিবেশনের প্রতিপাদ্য হচ্ছে- ‘এক পৃথিবী, এক পরিবার, এক ভবিষ্যৎ’। ভারত গত বছরের ডিসেম্বরে বিশ্বের এই প্রধান অর্থনৈতিক জোটের সভাপতিত্ব পেয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন সন্ত্রাসবাদকে একটি গুরুতর চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে বলেন, চ্যালেঞ্জ শুধু আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য নয়, মানব নিরাপত্তার জন্যও। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সরকার সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ‘জিরো-টলারেন্স’ নীতি বজায় রেখেছে। আমরা কোনো সন্ত্রাসী সংগঠনকে বাংলাদেশের মাটি অন্য কোনো দেশের বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে দিই না। আমাদের সরকারের সক্রিয় উদ্যোগের কারণে ভারত, বিশেষ করে উত্তর-পূর্ব ভারত বর্তমানে অব্যাহত উন্নয়ন, শান্তি ও নিরাপত্তা সুবিধা ভোগ করছে।
রাশিয়া-ইউক্রেন সংকটের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ সংকট অনেকের জন্য, বিশেষ করে নারী ও শিশুদের জন্য সমস্যা সৃষ্টি করছে। নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞার কারণে সরবরাহ শৃঙ্খল এবং আর্থিক লেনদেন ব্যবস্থার ব্যাঘাতের কারণে অনেক সরকারই মূল্য ও মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে।
তিনি জি২০ সভাপতি হিসাবে শান্তিপূর্ণ উপায়ে সংকট মোকাবিলা ও সমস্যা সমাধানে জি২০ নেতাদের প্রভাবিত করতে ভারতের প্রতি আহ্বান জানান।