South Asia
ভারত থেকে শিগগিরই টিকা পাবে বাংলাদেশ
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ১৭ আগস্ট ২০২১: ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী জানিয়েছেন, সেরাম থেকে শিগগিরই অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা পাবে বাংলাদেশ। মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) ভারত সরকারের দেওয়া ৩১টি লাইফ সাপোর্ট অ্যাম্বুলেন্স ও চিকিৎসা সামগ্রী হস্তান্তর করেন।
বিক্রম বলেন, ‘ভারতের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি এখন উন্নতির দিকে। ভারত চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশকে সেরাম থেকে যে টিকা দেওয়ার কথা, আশা করছি খুব শিগগিরই সেটি দেওয়া হবে।’
তিনি বলেন, ‘ভারতে করোনা সংক্রমণের হার বেড়ে যাওয়ায় দেশের বাইরে টিকা সরবরাহ বন্ধ করা হয়। আমাদের টিকা উৎপাদনের সক্ষমতা বাড়ানো হচ্ছে। তাছাড়া সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, ভারতের কাছে বাংলাদেশ প্রধান অগ্রাধিকার।’
এ সময় বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন আশা প্রকাশ করেন যে, ভারত খুব দ্রুতই প্রতিশ্রুত অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা বাংলাদেশে সরবরাহ করবে।
বাংলাদেশে ভারতের বায়োটেকের টিকার ট্রায়াল প্রসঙ্গে ভারতীয় হাইকমিশনার জানান, এর জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন পেতে আবেদন করা হয়েছে।
এদিকে বাংলাদেশকে ৩১টি লাইফ সাপোর্ট অ্যাম্বুলেন্স ও প্রায় ২০ টন প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সামগ্রী দিয়েছে ভারত। মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব হস্তান্তর করেন ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী। অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
চলতি বছরের মার্চে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকালে ১০৯টি লাইফ সাপোর্ট অ্যাম্বুলেন্স উপহার দেওয়ার অংশ হিসেবে এসব হস্তান্তর করা হয়েছে বলে ভারতীয় হাইকমিশন থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
চিকিৎসা সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে- অক্সিজেন ন্যাজাল ক্যানুলা, অক্সিজেন ফেস মাস্ক, অক্সিজেন ফ্লো মিটার, নন-রিব্রিদার মাস্ক, পালস অক্সিমিটার ডিভাইস, হাইফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলা, ১০ লিটার ধারণক্ষমতাসম্পন্ন তরল মেডিকেল অক্সিজেন সিলিন্ডার, ৪৫ লিটার ধারণক্ষমতাসম্পন্ন এলএমও সিলিন্ডার, অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর ও ইনফ্রা থার্মোমিটার।
ভারতীয় হাইকমিশন থেকে জানানো হয়, এই অ্যাম্বুলেন্সগুলো চলমান কোভিড মহামারি মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকারের ব্যাপক প্রচেষ্টায় সহায়তা করার উদ্দেশ্যে প্রদান করা হয়েছে। এমনকি মহামারির পরও অ্যাম্বুলেন্সগুলো জনস্বাস্থ্য পরিষেবা উন্নয়নে বাংলাদেশের চলমান ও দৃঢ়প্রচেষ্টায় সহায়ক হবে। এই উপহার বাংলাদেশের জনগণের সাথে অনন্য ও বিশেষ বন্ধুত্বের প্রতি ভারতের অবিচল ও দীর্ঘমেয়াদি অঙ্গীকারকে প্রতিফলিত করে।