South Asia

একাত্তরে পরাজয়ের দায় সামরিক বাহিনীর ওপর চাপালেন বিলাওয়াল ভুট্টো একাত্তরে পরাজয়
সংগৃহিত পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো

একাত্তরে পরাজয়ের দায় সামরিক বাহিনীর ওপর চাপালেন বিলাওয়াল ভুট্টো

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 02 Dec 2022, 11:53 pm

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকা, ২ ডিসেম্বর ২০২২: পূর্ব পাকিস্তান (বাংলাদেশ) হাতছাড়া হয়ে যাওয়ার কারণ সামরিক নয় বরং ‘রাজনৈতিক ব্যর্থতা’ ছিল বলে পাকিস্তানের সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়ার মন্তব্যের ঠিক এক সপ্তাহ পর তার এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন দেশটির বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো-জারদারি। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের পরাজয়কে ‘সামরিক ব্যর্থতা’ বলে দাবি করেছেন দেশটির রাজনৈতিক দল পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) এই নেতা।

বুধবার করাচির নিশতার পার্কে পিপিপির ৫৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এক সমাবেশে বিলাওয়াল ভুট্টো বলেন, একাত্তরে পাকিস্তানের ‘সামরিক ব্যর্থতা’ তার নানা ও তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জুলফিকার আলি ভুট্টো নেতৃত্বাধীন পিপিপির জন্য চ্যালেঞ্জ নিয়ে এসেছিল।

সমাবেশে দেওয়া বক্তৃতায় পিপিপির চেয়ারম্যান বিলাওয়াল তার দলের ইতিহাসের স্মৃতিচারণ এবং দলটির প্রতিষ্ঠাতার কৃতিত্বের কথা তুলে ধরেন। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের পরাজয়ের পর তার নানা জুলফিকার আলি ভুট্টো চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে ‘বিভক্ত হয়ে যাওয়া পাকিস্তান’কে ঐক্যবদ্ধ এবং ‘হারানো গৌরব পুনরুদ্ধার’ করেন বলেও উল্লেখ করেন বিলাওয়াল ভুট্টো।

তিনি বলেন, ‘জুলফিকার আলি ভুট্টো যখন সরকারের দায়িত্ব নেন, তখন লোকজন ভেঙে পড়ে ছিল এবং নিরাশ হয়ে পড়েছিল। কিন্তু তিনি জাতিকে পুনর্গঠিত করেন, লোকজনের আস্থা ফিরিয়ে আনেন। শেষ পর্যন্ত সামরিক ব্যর্থতার কারণে যারা যুদ্ধবন্দি হয়েছিলেন, সেই ৯০ হাজার সৈন্যকেও ফিরিয়ে আনেন তিনি। আর এসব কিছু সম্ভব হয়েছিল রাজনৈতিক আশা... রাজনৈতিক ঐক্য... এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনীতির কারণে।’

গত বুধবার (২৩ নভেম্বর) পাকিস্তানের বিদায়ী সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া ১৯৭১ সালে পূর্ব পাকিস্তানের (বাংলাদেশ) আলাদা হয়ে যাওয়ার ঘটনায় রাজনৈতিক ব্যর্থতা দায়ী বলে মন্তব্য করেন। দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় শহর রাওয়ালপিন্ডিতে সেনাবাহিনীর সদর দফতরে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, পূর্ব পাকিস্তানের আলাদা হয়ে যাওয়া সামরিক নয়, রাজনৈতিক ব্যর্থতা ছিল।

তিনি বলেন, পাকিস্তানের লড়াইরত সৈন্যের সংখ্যা ৯২ হাজার নয়, বরং ৩৪ হাজার ছিল। বাকিরা সরকারের বিভিন্ন দফতরের ছিলেন। এই ৩৪ হাজার সৈন্য ভারতীয় সেনাবাহিনীর ২ লাখ ৫০ হাজার সেনা এবং মুক্তিবাহিনীর ২ লাখ সদস্যের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন। এসব কঠিন প্রতিকূলতা সত্ত্বেও আমাদের সেনাবাহিনী সাহসিকতার সাথে লড়াই করেছে এবং অনুকরণীয় ত্যাগ স্বীকার করেছে; যা ভারতীয় সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল মানেকশ স্বীকার করেছেন।

ঘণ্টাব্যাপী বক্তৃতায় বুধবার বিলাওয়াল ভুট্টো পিপিপির ইতিহাস স্মরণ করে বলেন, তার দলের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী দেশের জন্য জীবন বিলিয়ে দিয়েছেন। এমনকি তাদের পরিবারের সদস্যদেরও রেহাই দেওয়া হয়নি এবং গণতন্ত্রকে দুর্বল করার ও ‘পুতুল নেতৃত্ব’ শক্তিশালী করার প্রয়াসে তাদের হত্যার চেষ্টা চালানো হয়েছে।

সর্বশেষ শিরোনাম

অনির্দিষ্টকালের জন্য পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করল ভারত Sun, Mar 24 2024

বাংলাদেশে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি ভারতের Tue, Mar 05 2024

বেইলি রোডে আগুনের ঘটনায় শোক জানিয়ে শেখ হাসিনাকে মোদীর চিঠি Sun, Mar 03 2024

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অংশীদার হতে পেরে ভারত গর্বিত: দ্রৌপদী মুর্মু Wed, Feb 28 2024

চিকিৎসা পর্যটন বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করছে Sat, Feb 24 2024

মোদি ও হাসিনার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু দ্বিপাক্ষিক চুক্তি Mon, Feb 19 2024

শেখ হাসিনাকে টেলিফোনে অভিনন্দন জানালেন মোদী Tue, Jan 09 2024

বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে যা বলল ভারত Fri, Jan 05 2024

বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন দেখতে চায় ভারত Sat, Dec 30 2023

এডিবি'র দক্ষিণ এশিয়া উন্নয়ন উদ্যোগের নেতৃত্ব দেবেন টাকিও কোনিশি Thu, Dec 14 2023