South Asia
আফগানিস্তানে গভীর অর্থনৈতিক সংকটে মাথাচাড়া দিতে পারে উগ্রপন্থা: জাতিসংঘ
কাবুল, নভেম্বর ২৫: অগাস্ট মাসে আফগানিস্তানে তালেবান ক্ষমতা দখল করার পর থেকে বৈদেশিক সাহায্য বন্ধ করে দেওয়া সংঘাত-দীর্ন এই দেশ এখন মানবিক বিপর্যয়ের মুখোমুখি।
পাকিস্তানে রাষ্ট্রসংঘের কূটনী্কতিক ডেবোরা লিয়ন্স রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে বলেছেন যে, স্থানীয় অর্থনীতি বিধ্বস্ত হয়ে যাওয়ােয় ড্রাগ ব্যবসা, অস্ত্রের চালান এবং মানুষের চোরাচালান বেড়ে যাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা।
এই শীতে ২.২ কোটি আফগান অর্থাৎ দেশের প্রায় অর্ধেক সংখ্যক মানুষ চরম খাদ্যসংকটে পড়তে পারেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে রাষ্ট্রসংঘ।
"বাস্তব পরিস্থিতি উগ্রপন্থার বিপদ বাড়িয়ে তুলছে," লিয়ন্স বলেছেন।
"ব্যাঙ্ক পরিষেবা অচল হয়ে থাকার ফলে অর্থনৈতিক ব্যবস্থা অনিয়ন্ত্রিত এবং রীতিবহির্ভূত আর্থিক লেনদেনের দিকে চলে যেতে পারে এবং তার ফলে সন্ত্রাসবাদ, চোরাচালান এবং ড্রাগ পাচারের মত কাজকর্মে সাহায্য করবে," লিয়ন্স সাবধান করেছেন।
"এই রোগ প্রথমে আফগানিস্তানকে আক্রান্ত করবে, তারপর ছড়িয়ে পড়বে চারপাশের অঞ্চলে," তিনি বলেন।
তালেবান আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পর দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রায় ৯৫০ কোটি ডলারের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে মার্কিন প্রশাসন। এর ফলে তালেবান দেশের সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন দিতে পারছে না।
এদিকে তালেবান ক্ষমতা নেওয়ার পর দাতা গোষ্ঠীগুলো আফগানিস্তানে সহায়তা দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে চরম দুর্ভোগ থেকে দেশকে টেনে তুলতে গত বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে লেখা খোলা চিঠিতে তালেবান সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি বলেন, আফগানিস্তানের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ এখন অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা এবং এর মূল কারণ মার্কিন সরকারের হাতে বাজেয়াপ্ত থাকা আফগান জনগণের সম্পদ। আটকে রাখা সম্পদ ছেড়ে দিতে মার্কিন সরকারের প্রতি আহবান জানান তিনি।
এর পরেই লিয়ন্স তাঁর মন্তব্যগুলি করেন।
এ ছাড়া আফগানিস্তানে ইসলামিক স্টেট (আইএস) জঙ্গিগোষ্ঠীর স্থানীয় শাখা আইএসকের বিস্তার নিয়েও সতর্কবার্তা দেন লিয়ন্স। আফগানিস্তানের ৩৪টি প্রদেশের প্রায় সব কটিতেই আইএসকে শক্তিশালী হয়ে উঠছে বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ওই জঙ্গিগোষ্ঠীকে মোকাবেলায় তালেবানের কার্যক্রম শুধু বিচারবহির্ভূতভাবে সন্দেহভাজনদের আটক ও হত্যাতেই সীমাবদ্ধ থাকছে।