South Asia
এখনই চাল রপ্তানি বন্ধ করছে না ভারত
নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লী, ২৮ মে ২০২২: গম-চিনির পর ভারত সরকার চাল রপ্তানিতেও বিধিনিষেধ আরোপ করতে চলেছে, এ ধরনের খবরকে গুজব বলে বর্ণনা করেছেন দেশটির নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের দুই কর্মকর্তা।
বৃহস্পতিবার (২৬ মে) মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ, ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ইকোনমিক টাইমসসহ বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে ভারতীয় নিষেধাজ্ঞার পরবর্তী নিশানা হতে পারে চাল- এমন খবর প্রকাশিত হয়। তবে এর কিছুক্ষণ পরেই ভারতের আরেক প্রভাবশালী দৈনিক দ্য হিন্দু বিজনেস লাইন জানায়, আপাতত এ ধরনের কোনো পরিকল্পনা নেই ভারত সরকারের।
সংবাদমাধ্যমটিকে নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক ভারতের এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, চাল রপ্তানিতে আমাদের নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই। এতে সীমা বেঁধে দেওয়ার বিষয়েও কোনো চিন্তাভাবনা চলছে না।
ভারত সরকারের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের আরেক কর্মকর্তাও বলেছেন, এখনই এমন (চাল রপ্তানি নিষিদ্ধ বা সীমিতকরণ) কোনো পদক্ষেপ আসছে না।
সরকারি সূত্রের বরাতে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, দেশটিতে চালের মজুত পর্যবেক্ষণ করছে কেন্দ্রীয় সরকার। এ বিষয়ে ‘তথ্যভিত্তিক’ ও ‘পরিমিত’ পদক্ষেপ নেবে দেশটি।
সূত্রগুলো বলেছে, দেশে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করাকে অগ্রাধিকার দিয়েছে ভারত সরকার। এর মাধ্যমে সরকারি বিতরণ ব্যবস্থার জন্য ‘বাফার স্টক’ নীতি মেনে চলা হবে। তবে এই মুহূর্তে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত বিষয় হলো মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ। বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে সরকারকে।
ভারত সরকারের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের প্রথম সেই কর্মকর্তা বিজনেস লাইনকে বলেন, গত অর্থবছরে ভারত বাসমতিসহ ২ কোটি ১১ লাখ টন চাল রপ্তানি করেছিল। এরপরেও দেশে চালের পর্যাপ্ত মজুত ছিল। এ বছরও আমাদের রেকর্ড পরিমাণ ফসল উৎপাদন হবে।
সরকারি তথ্য মোতাবেক, চলতি বছরে গত ১ মে পর্যন্ত ফুড করপোরেশন অব ইন্ডিয়া (এফসিআই) রেকর্ড ৩ কোটি ৩২ লাখ ৭০ হাজার টন চাল ও ২ কোটি ৬৬ লাখ ১০ হাজার টন ধান মজুত করেছে, যা গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি।
গত সপ্তাহে ভারতীয় কৃষি মন্ত্রণালয়ের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চলতি কৃষিবর্ষের জুন মাস পর্যন্ত দেশটিতে রেকর্ড ১২ কোটি ৯৬ লাখ ৬০ হাজার টন চাল উৎপাদন হতে পারে। গত বছর এর পরিমাণ ছিল ১২ কোটি ৪৩ লাখ ৭০ হাজার টন।