South Asia
শিগগির বাংলাদেশে ‘কোভ্যাক্সিন’র ট্রায়াল চালাতে চায় ভারত
নতুন দিল্লি, ৩ আগস্ট ২০২১: বাংলাদেশে ‘কোভ্যাক্সিন’ ট্রায়ালের জন্য তৎপর হয়ে উঠেছে ভারত। ইতোমধ্যে এর জন্য প্রয়োজনীয় তহবিলের অনুমোদনও দিয়েছে নরেন্দ্র মোদির সরকার। সোমবার (২ আগস্ট) ভারত সরকারের একটি অভ্যন্তরীন নথির বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে প্রভাবশালী একটি জাতীয় দৈনিক।
ওই নথিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে ‘কোভ্যাক্সিন’র ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য প্রয়োজনীয় তহবিল নিশ্চিত করেছে ভারত সরকার। ভারত বিভিন্ন দেশে তাদের মিশনগুলোর সাহায্যে স্থানীয় নীতিনির্ধারণী কর্তৃপক্ষগুলোর দ্বারস্থ হয়ে কোভ্যাক্সিন ব্যবহারের অনুমোদনের জন্য জোরপ্রচেষ্টা চালাচ্ছে।
এতে বলা হয়েছে, বিদেশে, বিশেষ করে প্রতিবেশী অঞ্চলে ‘কোভ্যাক্সিন’র সম্মান বাড়ানোর লক্ষ্যে বাংলাদেশে এর ট্রায়াল পরিচালনার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। এর জন্য বাংলাদেশি কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করতে ভারতের জৈবপ্রযুক্তি বিভাগ এবং ভারত বায়োটেকের কর্মকর্তাদের নিয়ে গঠিত একটি দলের ঢাকা সফরের ব্যবস্থা করেছে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এছাড়া বাংলাদেশে কোভ্যাক্সিন ট্রায়ালের জন্য প্রয়োজনীয় তহবিলেরও অনুমোদন নিশ্চিত করেছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এখন বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের অনুমোদন পেলেই ট্রায়াল শুরু হতে পারে।
বাংলাদেশের মেডিক্যাল গবেষণা কর্তৃপক্ষের এক কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন, ‘কোভ্যাক্সিন’ ট্রায়ালের জন্য আবেদন করেছে ভারত বায়োটেক। এ বিষয়ে অবগত কয়েকজনের বরাতে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমটি আরও দাবি করেছে, গত ১৮ জুলাই দেশে ‘কোভ্যাক্সিন’ ট্রায়াল পরিচালনার অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ মেডিক্যাল গবেষণা কাউন্সিল (বিএমআরসি)। আর এতে বাংলাদেশের পক্ষে সই করেছেন বিএমআরসি চেয়ারম্যান সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএমআরসি চেয়ারম্যান সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী বলেন, ‘গত মাসে এ ব্যাপারে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। থার্ড ফেজের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য অনুমোদন দেয়া হয়েছে। থার্ড ফেজ হলো ইতোমধ্যেই এ টিকা মানবদেহে সফলতার সঙ্গে ব্যবহৃত হয়েছে। এখন ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের সংখ্যা যত বেশি বাড়ানো যায় তত প্রতিষ্ঠানের সুনাম আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাড়ে। ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ব্রাজিলসহ বিভিন্ন দেশে এ টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল হয়েছে।'