South Asia
মোদির সফর চূড়ান্ত করতে ঢাকা আসছেন জয়শঙ্কর
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ৩ মার্চ ২০২১: ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফর চূড়ান্ত করতে একদিনের সফরে বৃহস্পতিবার (৪ মার্চ) ঢাকা আসছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। পানি, বাণিজ্য, সীমান্ত, কানেক্টিভিটিসহ অন্যান্য দ্বিপক্ষীয় বিষয় নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে আলোচনা করবেন তিনি। নরেন্দ্র মোদির সফরের মধ্যদিয়ে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও জোরালো করার বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়ে দুই পক্ষের আলোচনা হবে বলে জানা গেছে।
একদিনের সফরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন জয়শঙ্কর।
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পানি নিয়ে এখনও অনেক বিষয় অমীমাংসিত রয়েছে। মোদির সফরে এই বিষয়টি গুরুত্বসহকারে আলোচনা করতে চায় ঢাকা। এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, তিস্তা, অন্য ছয়টি নদী, রহিমপুর খালসহ পানি নিয়ে অন্যান্য যে অমীমাংসিত বিষয় রয়েছে, সেগুলো নিয়ে আমরা আলোচনা করতে চাই।
তিনি জানান, তিস্তার প্রসঙ্গটি স্বাভাবিকভাবেই আলোচনায় উঠবে। ২০১১ সালে তাদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী এই চুক্তি দ্রুত সই হবে বলে আশা করে বাংলাদেশ।
এই কর্মকর্তা বলেন, মনু, মুহুরি, দুধকুমার, ধরলা, গোমতি ও খোয়াই নদীর পানি বণ্টন নিয়ে একটি খসড়া চুক্তি নিয়ে কাজ চলছে এবং সেটি দ্রুত শেষ করতে চায় ঢাকা।
এছাড়া কুশিয়ারা নদীর পানি সেচ কাজে ব্যবহারের জন্য রহিমপুর খাল খননে ভারত আপত্তি করছে। এ বিষয়টিও নিষ্পত্তির জন্য আলোচনা করবে ঢাকা।
সীমান্ত ব্যবস্থাপনা : সীমান্তে হত্যাকাণ্ড নিয়ে গত সপ্তাহে অনুষ্ঠিত দুই দেশের স্বরাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। বিষয়টি আবারও তোলা হবে। এ বিষয়ে আরেকজন কর্মকর্তা বলেন, সীমান্ত হত্যাকাণ্ড দুই দেশের বন্ধুপ্রতিম সম্পর্কের প্রতিফলন নয়। এ বিষয়টি আমরা জোরালোভাবে তুলবো।
বাণিজ্য ইস্যু : দুই দেশের বাণিজ্য বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি ভারতে বাংলাদেশের রফতানিও বাড়ছে। কিন্তু একইসঙ্গে পাটের ওপরে অ্যান্টি ডাম্পিং শুল্ক, স্থলবন্দর সমস্যা, অশুল্ক বাধাসহ অন্যান্য অসুবিধার সম্মুখিন হচ্ছেন বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা।
এ বিষয়ে সরকারের কর্মকর্তা বলেন, ভারতের আরোপিত অ্যান্টি ডাম্পিং শুল্ক প্রত্যাহারের জন্য আমরা আলোচনা করছি। এছাড়া স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য পাঠানো সংক্রান্ত জটিলতা তৈরি হয়েছে, যা দূর করার জন্য আলোচনা হবে।
এর পাশাপাশি কানেক্টিভিটি, রোহিঙ্গা, সুমদ্র অর্থনীতিসহ অন্যান্য বিষয় নিয়ে আলোচনার সম্ভাবনা আছে বলে তিনি জানান।