South Asia
সীতাকুণ্ডের দুর্ঘটনায় নরেন্দ্র মোদির শোক
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ৮ জুন ২০২২: চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডে শোক জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।
বার্তায় বলা হয়, চট্টগ্রামের কনটেইনার ডিপোতে মর্মান্তিক অগ্নিকাণ্ডে নিহত ও আহতের ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সম্বোধন করা ওই চিঠিতে, ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণ ও পুনর্বাসনের জন্য তার সরকারের সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তা দেওয়ার প্রচেষ্টা থাকবে বলে জানান ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী। চিঠিতে ভারত সরকার ও ভারতের ভ্রাতৃপ্রতিম জনগণের পক্ষ থেকে আন্তরিক সমবেদনা ও সহানুভূতি প্রকাশ করা হয়। আহতদের দ্রুত সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করা হয়।
এদিকে শনিবার রাতে শুরু হওয়া এ অগ্নিকাণ্ডে এখন পর্যন্ত ৪১ জন নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছে কর্তৃপক্ষ। তাদের মধ্যে ৯ জন দমকল বাহিনীর কর্মী রয়েছে। ধ্বংসস্তূপ থেকে আরও দুটো দেহাবশেষ পাওয়া গেছে মঙ্গলবার। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা ৪৩ হওয়ার কথা। তবে এ বিষয়ে এখনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি। ওই কনটেইনার ডিপোর আগুন এখন প্রায় নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী।
চট্টগ্রাম মেডিকেলে কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৬৩ জন রোগী কোনো না কোনোভাবে চোখে আঘাত পেয়েছেন। তাদের মধ্যে ছয় জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে নেওয়া দরকার বলে জানিয়েছেন ন্যাশনাল আই কেয়ারের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক দীন মোহাম্মদ নুরুল হক।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে থাকা রোগীদের দেখেন ন্যাশনাল আই কেয়ারের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক দীন মোহাম্মদ নুরুল হক।
মঙ্গলবার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালকের কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান তিনি।
তিনি বলেন, আহত রোগীদের মধ্যে চমেকে ভর্তি ৬৩ জন রোগী চোখে কোনো না কোনোভাবে আঘাত পেয়েছেন। তবে সে আঘাতের মাত্রার পরিমাণ কম-বেশি আছে। কিছু কিছু আছে সিরিয়াস ইনজুরড। তাদের মধ্যে কারও শুধু চোখেই আঘাত। আবার কারও কারও শরীরের অন্য অঙ্গগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আহতদের মধ্যে ছয় জনের চোখের অবস্থা খুবই খারাপ। তাদের মধ্যে একজনের চোখের কর্নিয়া ফেটে গেছে। তাকে প্রয়োজনে উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে নিতে হতে পারে।