South Asia

নতুন প্রজন্ম বাংলাদেশ-জাপান অংশীদারিত্ব এগিয়ে নেবে: প্রধানমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ২৮ এপ্রিল ২০২৩ : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মহান মুক্তিযুদ্ধে সোচ্চার সমর্থন জানানোর জন্য জাপানিদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন, নতুন প্রজন্ম আগামী বছরগুলোতে দুই দেশের মধ্যেকার ‘দীর্ঘস্থায়ী বন্ধুত্ব’ এবং ‘ঈর্ষণীয় অংশীদারত্ব’কে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি আত্মবিশ্বাসী যে জাপানের জনগণ অতীতের মতোই আমাদের প্রয়োজনে সরকারের পাশাপাশি সবসময় পাশে থাকবে। ৫০ বছর ধরে বিদ্যমান দীর্ঘস্থায়ী বন্ধুত্ব এবং ঈর্ষণীয় অংশীদারত্ব আগামী বছরগুলোতে আমাদের নতুন প্রজন্ম এগিয়ে নিয়ে যাবে।’
বৃহস্পতিবার টোকিওর আকাসাকা প্যালেস গেস্ট হাউজে চার জাপানি নাগরিককে ‘ফ্রেন্ডস অব লিবারেশন ওয়ার অনার’ প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি এ মহৎ অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানাই। যেখানে আমরা শুধু আমাদের বন্ধুদের সম্মান করছি না বরং জাপানের সঙ্গে বন্ধুত্বের বন্ধনও উদযাপন করছি।’
তিনি ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় যারা মানবতার স্বার্থে সোচ্চার হয়েছিলেন এবং প্রচেষ্টা চালিয়েছিলেন, সেইসব মহান ব্যক্তির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আয়োজিত মহৎ অনুষ্ঠানে সবাইকে স্বাগত জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘তাদের মধ্যে যেসব জাপানি নাগরিক ছিলেন, তারাও আজ আমাদের সঙ্গে আছেন। এটি বাংলাদেশ ও জনগণের জন্য শুভ উপলক্ষ।’
তিনি বলেন, ‘জাপানের জনগণ তখন বাংলাদেশের দুর্দশাগ্রস্ত মানবতার পাশে দাঁড়িয়েছিল। বাংলাদেশের তালিকায় আটজন সম্মানিত ব্যক্তি রয়েছেন, যাদের ২০১২ সালের ২৭ মার্চ এবং ২০১৩ সালের ১ অক্টোবর ফ্রেন্ড অব লিবারেশন ওয়ার অনার দিয়ে সম্মানিত করা হয়েছে।
আমরা টোকিওতে বাংলাদেশের আরও চারজন মহান বন্ধুকে সম্মান জানাতে এসেছি, যারা আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন, নৈতিক ও বস্তুগত সহায়তার ব্যবস্থা করেছিলেন এবং সহায়তা নিশ্চিত করেছিলেন। তারা নৃশংসতার প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন এবং আমাদের অসহায় মানুষদের জন্য মানবিক ত্রাণ, চিকিৎসা সুবিধা পাঠিয়েছিলেন।’
সরকারপ্রধান বলেন, এটি ছিল একটি কষ্টের সময়, যা কথায় প্রকাশ করা যায় না। তখন বাংলাদেশ দখলদার বাহিনীর হাতে ছারখার হয়েছিল। সেই সংকটময় মুহূর্তে, আমাদের জাপানি বন্ধুরা আমাদের দুর্দশা বুঝতে পেরেছিল এবং মানবতার জন্য এগিয়ে এসেছিল। তারা (জাপানিরা) দারুণ চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছিল। তবুও পিছিয়ে পড়েনি। হুমকির মুখে তাদের নিঃস্বার্থ আচরণ আমাদের চেতনাকে পুনরুজ্জীবিত করেছিল। সবচেয়ে অবিস্মরণীয় ছিল জাপানি স্কুলের শিশুদের দান, যারা আমাদের লোকদের সাহায্য করার জন্য তাদের টিফিনের অর্থ সঞ্চয় করে দান করেছিল।