South Asia
আ’লীগ-বিএনপি এক টেবিলে বসলেই সমস্যা মিটে যেতো: সিইসি
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ১৯ জুলাই ২০২২: রাজনৈতিক সংকট সমাধানে এবার ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও জাতীয়তবাদী দল-বিএনপিকে এক টেবিলে বসার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। এই দুটি দল এক টেবিলে বসলে সমস্যার সমাধান হয়ে যেতো বলে মনে করেন তিনি।
সোমবার (১৮ জুলাই) নির্বাচন ভবনে বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের সঙ্গে সংলাপে বসে তিনি এমন মন্তব্য করেন। দলের সংগঠন প্রধান আবু লায়েস মুন্নার নেতৃত্বে সংলাপে ১১ সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশ নেয়। এছাড়া নির্বাচন কমিশনাররাসহ ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও এতে অংশ নেন।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, 'আমি মনে করি সরকারি দল, তারা যদি বসতেন, বসে যদি ৫-৭টা মিটিং করতেন, তাহলে সলভ (সমাধান) হয়ে যেতো। ভিন্ন ভিন্ন মঞ্চে মিটিং করছেন। একসঙ্গে কোনো মিটিং করেননি। কিন্তু আমাদের ধারণা, সীমিত জ্ঞান, আমাদের ফ্যামিলিতে কোনো সমস্যা হলে মীমাংসায় বসি, মুরব্বিদের ডাকা হয়। এটা তো প্রচলন আছে। ওখানে বসতে হয়। কিন্তু আমরা দেখতে পারছি না যে আওয়ামী লীগের সম্মানিত নেতারা, বিএনপির সম্মানিত নেতারা একসঙ্গে বসছেন। টেবিলে বসে আলোচনা করলে অনেক ভালো হতো এবং একটা সুরাহা হতো।’
সিইসি বলেন, 'আমাদের জন্য যে প্রস্তাব ছিল, আমাদের আইন-কানুন দেখে নিয়েছি। আমাদের দায়িত্ব পালন করবো। ভোটকেন্দ্রে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার বিষয়টা, ভোটকেন্দ্র যেন কারও দখলে চলে না যায়, সেটা আমরাও চেষ্টা করবো। আপনারাও চেষ্টা করবেন। নির্বাচন কমিশনের কাজ একটাই, ভোটারকে ভোটদানের সুযোগ করে দেওয়া। এই কাজটা ইসিকে নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য আপনাদের সহযোগিতা চাচ্ছি।'
তিনি বলেন, 'আমাদের মধ্যে একটা জিনিস দাঁড়িয়ে গেছে, যে করেই হোক জিততে হবে। কিন্তু হেরে যাওয়াও মানতে হবে। ভারতে এতো বড় নির্বাচন হলো, সেখানে কংগ্রেসের ভরাডুবি হলো। কংগ্রেসের কাউকে বলতে শুনলাম না নির্বাচনটা ভালোভাবে হয়নি। আমাদের ভোট দিতে দেওয়া হয়নি। ভারতে নির্বাচন কমিশনকে নিয়ে দোষারোপ করা সহজ হচ্ছে না। আমরা এই ধরনের ঐতিহ্য গড়ে তুলতে পারিনি।'
জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে গতকাল রোববার (১৭ জুলাই) থেকে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে বসছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ সংলাপ চলবে ৩১ জুলাই পর্যন্ত। প্রতিটি দল থেকে ১০ জন করে প্রতিনিধি এ সংলাপে অংশ নিতে পারবেন।