Sports
ওয়ানডেতে উইন্ডিজের বিরুদ্ধে দাপুটে জয় বাংলাদেশের
ক্রিড়া প্রতিবেদক, ঢাকা, ১১ জুলাই ২০২২: এবারের উইন্ডিজ সফরে টেস্ট সিরিজের পর টি-টোয়েন্টি সিরিজ হেরে রীতিমত কোণঠাসা হয়ে পড়েছিল বাংলাদেশ দল। তবে ‘প্রিয়’ ওয়ানডে ফরম্যাটে ফিরেই দাপুটে জয় তুলে নিয়েছে টাইগাররা। তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ম্যাচে ক্যারিবীয়দের দেওয়া ১৫০ রানের লক্ষ্য টপকাতে নেমে ৬ উইকেট আর ৫৫ বল হাতে রেখেই জয় তুলে নিয়েছে সফরকারীরা।
দাপুটে এই জয় দিয়ে আরও একবার মনে করিয়ে দিল, তামিম ইকবালের দল একদিনের ফরম্যাটে কেন এতো সমীহ জাগানিয়া হয়ে উঠেছে। বৃষ্টির কারণে ৪১ ওভারে নেমে আসা এই ম্যাচে জয়ের ভিতটা অবশ্য গড়ে দেন টাইগার বোলাররা। পরে টার্গেট টপকাতে নেমে সেই পদাঙ্ক অনুসরণ করে দলকে সহজ জয় এনে দিয়েছেন ব্যাটসম্যানরা। এতে সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ দল।
এমন প্রাপ্তির মাঝেও আক্ষেপ আর হতাশা আছে। জয়ের ব্যবধান হতে পারতো আরও বড়। বোলিং আর ব্যাটিং ভালো করলেও হতশ্রী ছিল ফিল্ডিং বিভাগ। উইন্ডিজের শেষ উইকেট জুটিতেই বাংলাদেশ দলের হাত থেকে পড়েছে ৩টি সহজ ক্যাচ।
গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে লক্ষ্য টপকাতে নেমে অবশ্য শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে আকিল হোসাইনের শর্ট বল ফরোয়ার্ড ডিফেন্স করতে গিয়েছিলেন লিটন দাস। কিন্তু বল মিস করলে এলবিডব্লিউর আবেদন করে উইন্ডিজ। আম্পায়ার জো উইলসন দীর্ঘক্ষণ সময় নিয়ে আঙুল তোলেন। লিটন রিভিউ নেন। দেখা যায় আম্পায়ার্স কলে আউট হন তিনি। আম্পায়ার নট আউট দিলে টিকে যেতে পারতেন। সাজঘরে ফেরার পথে নিজের আউট নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন লিটন।
এরপর নাজমুল হোসেন শান্তকে নিয়ে দলের হাল ধরেন তামিম। ব্যাট হাতে আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন এই বাঁহাতি। তবে ইনিংসের অষ্টম ওভারে ব্যক্তিগত ৩৩ রানে আউট হন তিনি। অফ সাইডে বল পাঠিয়ে শান্ত এক রান নিতে চেয়েছিলেন। তামিম সেই ডাকে সাড়া দেন। কিন্তু অ্যান্ডারসন ফিলিপের সরাসরি থ্রো তাকে বাঁচাতে পারেনি। ২৫ বলে ৩৩ রানের কুইক ফায়ার ইনিংস খেলেন তামিম। যেখানে ৪টি চার ও ১টি ছক্কা হাঁকান।
তামিমের আউটের পর নতুন ব্যাটসম্যান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে নিয়ে দলের হাল ধরেন শান্ত। তৃতীয় উইকেটে এই পার্টনারশিপ থেকে আসে ৪৯ রান। শান্ত ৪৬ বলে ৩৭ রানে আউট হলে ভাঙে এই জুটি। পরে অবশ্য পুরানের স্পিনে বোল্ড হন মাহমুদউল্লাহ। তবে নো বলের কল্যাণে বেঁচে না তিনি। মাহমুদউল্লাহ বাঁচলেও বাঁচতে পারেননি আফিফ হোসেন। পুরানের শিকার ১৭ বলে ৯ রান করে।