Sports
ইতিহাস গড়ে ১০ উইকেটে জয়, সিরিজ বাংলাদেশের
ক্রিড়া প্রতিবেদক, ঢাকা, ২৩ মার্চ ২০২৩: আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে এক সিরিজ দুই হাত ভরে দিলো বাংলাদেশকে। আগের দুই ম্যাচে দলীয় সর্বোচ্চ সংগ্রহের রেকর্ড ভাঙাগড়া হলো। এবার বাংলাদেশের রানের পাহাড়ে যেন চাপা পড়তে না হয়, সেজন্য প্রথমে ব্যাটিং বেছে নিয়েছিল আইরিশরা। তাতে হয়ে গেলো আরেক রেকর্ড। প্রথমবারের মতো ওয়ানডেতে ১০ উইকেটের জয় তুলে নিয়ে ইতিহাস গড়লো বাংলাদেশ। বিনা উইকেটে ১০২ রান তাড়া করে তিন ম্যাচের সিরিজটাও ২-০ ব্যবধানে জিতে নিয়েছে তামিম ইকবালের দল।
বাংলাদেশ রেকর্ডগড়া ৩৪৯ রান করার পর দ্বিতীয় ওয়ানডেটি পরিত্যক্ত হয়েছিল। নাহলে হয়তো ৩-০ ব্যবধানে আইরিশদের হোয়াইটওয়াশ করার কীর্তিটাও লেখা থাকতো টাইগারদের নামের পাশে। ওয়ানডেতে এর আগে উইকেটের হিসেবে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জয়টি ছিল ৯ উইকেটের। পাঁচবার প্রতিপক্ষকে ৯ উইকেটে হারিয়েছে টাইগাররা। তবে ছিল না ১০ উইকেটের জয়।
সিলেটে সিরিজ জয়ের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সামনে লক্ষ্য ছিল মাত্র ১০২ রানের। তামিম ইকবাল আর লিটন দাস মিলেই এই লক্ষ্য পেরিয়ে গেছেন। সেটাও মাত্র ১৩.১ ওভারে।
অধিনায়ক তামিম ইকবাল ৪১ বলে ৫ চার আর ২ ছক্কায় ৪১ আর লিটন দাস ৩৮ বলে ১০ বাউন্ডারিতে ৫০ রানে অপরাজিত থাকেন। এটি লিটনের ক্যারিয়ারের নবম ফিফটি।
এর আগে বিধ্বংসী পেস ত্রয়ীর তাণ্ডবে ২৮.১ ওভারে ১০১ রানেই গুটিয়ে যায় আয়ারল্যান্ড। হাসান মাহমুদ একাই নেন ৫ উইকেট, তাসকিন আহমেদ ৩টি আর এবাদত হোসেনের শিকার ২টি।
টস জিতে আগের দুই ম্যাচে বাংলাদেশকে ব্যাট করতে পাঠানোর পর আয়ারল্যান্ড বুঝেছিলো, সম্ভবত আগে ব্যাট করলেই বেশি রান করা যায়। সে কারণেই তৃতীয় ম্যাচে আজ টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।
কিন্তু ব্যাট করতে নেমে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুরুতেই বাংলাদেশের পেসার হাসান মাহমুদের তোপের মুখে পড়ে আইরিশরা। ২৬ রানেই তারা হারায় ৪টি উইকেট। টপ অর্ডারের তিন ব্যাটারকে ফিরিয়ে দেন হাসান মাহমুদ। তার সঙ্গে উইকেট শিকারে মাতেন পেসার তাসকিন আহমেদও। তিনি ফিরিয়েছেন অধিনায়ক বালবির্নিকে।
২৬ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর কুর্তিস ক্যাম্ফার আর লরকান টাকার কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। ৫৭ বলে ৪২ রানের জুটি গড়েন তারা। এরপর এবাদতের জোড়া শিকার। দুই ওভার আগেই তিনটি বাউন্ডারি হজম করেছিলেন এবাদত হোসেন। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ান। ইনিংসের ১৯তম ওভারে সেট ব্যাটার লরকান টাকার (৩১ বলে ২৮) এবাদতের দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে এলবিডব্লিউ হন। পরের বলে জর্জ ডকরেলকে (০) দাঁড়ানোর আগেই বোল্ড করে দেন এবাদত।
এরপর এক ওভারে তিন বলের মধ্যে দুই শিকার করেন তাসকিনও। ম্যাকব্রিনকে (১) মিডউইকেটে বানান নাসুমের ক্যাচ, মার্ক এডায়ারকে করেন বোল্ড (০)।