Sports

৩২০ রান তাড়া করে বাংলাদেশের রুদ্ধশ্বাস জয়
ঢাকা, ১৩ মে ২০২৩ : চেমসফোর্ডে বৃষ্টিবিঘ্নিত সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে আয়ারল্যান্ডকে শেষ ওভারে এসে ৩ উইকেট আর ৩ বল হাতে রেখে হারিয়েছে তামিম ইকবালের দল। তিন ম্যাচ সিরিজে নিয়েছে ১-০ লিড।
অনেক নাটকীয়তার ম্যাচে শেষ ওভারে বাংলাদেশের দরকার ছিল ৫ রান। হিসেবটা বেশ সহজ। কিন্তু স্বীকৃত ব্যাটার বলতে ছিলেন কেবল মুশফিকুর রহিম।
স্ট্রাইকে গিয়ে মুশফিক প্রথম দুই বলে রান নিলেন না। তৃতীয় বলটি মার্ক এডায়ার ফুলটস দিলে পুল করে ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ারে ক্যাচ তুলে দিলেন মুশফিক। বাংলাদেশের সমর্থকদের চোখেমুখে তখন একরাশ হতাশা। মুশফিক আউট হয়ে গেলে তো সবই শেষ!
কিন্তু নাটকের তখন আরও বাকি। ওই বলটি মুশফিকের কোমরের ওপর ছিল। ফলে রিপ্লে দেখে ‘নো’ দেন আম্পায়ার। ফ্রি-হিট পেয়ে যান মুশফিক। তাতেই বাংলাদেশের সব দুশ্চিন্তার ইতি।
ফ্রি-হিটকে সহজেই সীমানার দড়ি পার করে বিজয় উল্লাসে মাতেন মুশফিক। ২৮ বলে ৪ বাউন্ডারিতে তিনি অপরাজিত থাকেন ৩৬ রানে। তবে মুশফিকের জন্য এই পথ পাড়ি দেওয়া খুব সহজ কাজ ছিল না। শেষ ৫ ওভারে তার সঙ্গে ছিল না কোনো স্বীকৃত ব্যাটার, রান দরকার ছিল ৩৪।
৪০তম ওভারে মেহেদি হাসান মিরাজ ১২ বলে ১৯ করে ফিরলে অন্ধকার নেমে এসেছিল টাইগার সমর্থকদের চোখেমুখে। সেখান থেকে অনেক চড়াই উৎরাই পেরিয়ে এই জয়।
ছবি: সংগৃহিত
জয়ের ভিতটা অবশ্য গড়ে দেন নাজমুল হোসেন শান্ত আর তাওহিদ হৃদয়। আলাদা করে বলতে হয় শান্তর কথা। ১১৭ রানের ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস খেলেছেন বাঁহাতি এই ব্যাটার, ৯৩ বলের ঝোড়ো যে ইনিংসে ১২টি চারের সঙ্গে হাঁকান ৩টি ছক্কা।
হৃদয় হাফসেঞ্চুরির পর ফিরলেও তার ইনিংসটা ছিল ভীষণ ইমপ্যাক্টফুল। চতুর্থ উইকেটে শান্তর সঙ্গে ম্যাচ জেতানো জুটি তো গড়েছেনই, চোখ ধাঁধানো কিছু ছক্কা হাঁকিয়ে প্রতিপক্ষকে চাপের মধ্যে রাখেন এই তরুণ। শান্ত-হৃদয়ের জুটিতেই ম্যাচটা জয়ের পথে চলে আসে বাংলাদেশ।