Sports
অতিরিক্ত সময়ের গোলে স্বপ্নভঙ্গ বাংলাদেশের
ক্রিড়া প্রতিবেদক, ঢাকা, ১ জুলাই ২০২৩: কুয়েতের মতো শক্তিশালী দলকে অতিরিক্ত সময়ে নিয়ে যাওয়ার পেছনে গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকোর বীরত্বের কথা মনে রাখবেন অনেকে। তার অবিশ্বাস্য কয়েকটি সেভ বাংলাদেশকে বারবার ফিরিয়ে দিয়েছিল প্রাণ। তবে শেষরক্ষা হয়নি।
অতিরিক্ত সময়ের প্রথম ১৫ মিনিটের বাঁশি বাজার আগেই প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের গোলক্ষককে পরাস্ত করে কুয়েত। আবদুল্লাহ আল বুলুশির গোলে এগিয়ে যায় সাফের অতিথি দলটি। বাকি সময় ওই গোল ধরে রেখে ১-০ ব্যবধানে সেমিফাইনাল জিতে বাংলাদেশের স্বপ্ন ভেঙ্গে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে উঠে গেছে কুয়েত।
গ্রুপ পর্বে ভারতের বিপক্ষে শেষ মুহূর্তের গোলে সমতায় ফিরে কুয়েত নিজেদের শক্তিমত্তা প্রমাণ করেছিল। বাংলাদেশও জানতো কুয়েতকে হারিয়ে ফাইনালে উঠতে তাদের অন্যরকমভাবে জ্বলে উঠতে হবে। সবার প্রতিজ্ঞা ছিল- ম্যাচের আগে হারবো না, জানবাজি রেখে খেলবো। জামাল-জিকোরা খেলেছেনও তাই।
অতিরিক্ত সময়ের গোল বাংলাদেশ সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিয়েছে। এই বিদায়ে কষ্ট আছে। তবে গ্লানি নেই। বাংলাদেশ শক্তিশালী প্রতিপক্ষ কুয়েতের বিপক্ষে দুর্দান্ত লড়াই করে হেরেছে। আর ১৫ মিনিট ম্যাচটাকে ধরে রাখতে পারলে নিয়ে যেতে পারতো টাইব্রেকারে। তখন যে কোনো কিছুই ঘটতে পারতো।
কুয়েত ম্যাচ জিতেছে ১৫ মিনিট বাকি থাকতে গোল দিয়ে। আর বাংলাদেশ গোল দিতে পারতো ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেই। মোরসালিন সহজ সুযোগ মিস না করলে তরুণ এ্ই ফুটবলার ম্যাচ শেষে হয়তো চড়তেন সবার কাঁধে। কিন্তু ফুটবলে এমন কিছু হয়, যা একদলকে এনে দেয় আফসোস, আরেক দলকে স্বস্তি। না হলে আগের দুই ম্যাচে দুর্দান্ত গোল করা মোরসালিন কেন গোলরক্ষককে একাও পেয়েও ওভাবে গায়ে বলটি মারবেন।
লেবানন ও কুয়েতের অন্তর্ভুক্তির পর এবারের সাফ অনেক কঠিন হয়ে পড়েছিল বাংলাদেশের সামনে। যে কারণে কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা প্রথমত সেমিফাইনালকেই লক্ষ্যবস্তু করেছিলেন।
তবে বাংলাদেশ গ্রুপপর্বে যে ফুটবল খেলেছে, তাতে অনেকে স্বপ্ন বুনেছিলেন হয়তো দল ফাইনালে খেলবে। জামাল ভূঁইয়রাও ছিলেন আত্মবিশ্বাসী। বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত পারেনি ১৮ বছর পরে আবার ফাইনালমঞ্চে পা রাখতে। তবে জামাল ভূঁইয়ারা এবারের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে যে পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন তাতে ফুটবল নিয়ে হতাশা কিছুটা হলেও কাটবে ফুটবলামোদীদের।