Sports
মায়ের পথ অনুসরণ করে যুব গেমসে সোনা জিতেছে মেয়ে
ঢাকা, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩: এক সময় জাতীয় দলে নিয়মিত খেলতেন ভারোত্তোলক শাহরিয়া সুলতানা। ১৪ বছরের ক্যারিয়ারে, তিনি জাতীয় প্রতিযোগিতায় ১৩টি স্বর্ণপদক জিতেছেন। শাহরিয়া বর্তমানে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের ভারোত্তোলন কোচ হিসেবে কাজ করছেন।
তিনি এশিয়ান ভারোত্তোলন ফেডারেশনের কোচিং ও গবেষণা কমিটির সেক্রেটারি এবং বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের টেকনিক্যাল অফিসারও। মায়ের দেখানো পথে ভারোত্তোলনে এসেছেন শাম্মী সুলতানা। প্রথমবারের মতো তিনি ২য় শেখ কামাল যুব গেমসে অংশ নেন। আর প্রথম সংস্করণেই সবার নজর কেড়েছে রাজধানীর উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী। ভারোত্তোলনে, তিনি রেকর্ড তৈরি করে আজ ৫৫ কেজি ওজন বিভাগে স্বর্ণপদক জিতেছেন।
শাম্মী খেলেছেন খুলনা বিভাগের হয়ে। স্ন্যাচয়ে তিনি ৫০ কেজি ও ক্লিন অ্যান্ড জার্কে ৬২ কেজি তুলেছেন। শাম্মি দুবারই ওজনের রেকর্ড গড়েছেন। সব মিলিয়ে রেকর্ড ১১২ কেজি ওজন তুলে সোনা জিতেছেন শাম্মি। এই ইভেন্টে রুপো জিতেছেন রংপুর বিভাগের অনন্যা রায়। তিনি ৯২ কেজি তুলেছেন। ৮১ কেজি নিয়ে ব্রোঞ্জ পদক জিতেছেন খুলনা বিভাগের আয়েশা খাতুন।
এর আগে গত বছর জাতীয় যুব ভারোত্তোলনে সোনা জিতেছিলেন শাম্মি। আজ তার মেয়েকে সোনা জিততে দেখে উচ্ছ্বসিত শাহরিয়া বলেন, "নিজের রেকর্ড নিজেই ভেঙেছে ও। এটা দেখে মা হিসেবে আমার খুব ভালো লাগছে। আমি আসলে ওকে ভারোত্তোলক বানাব, এটা চাইনি। ও নিজে থেকে ভার তোলে। ছোটবেলা থেকে অন্যের অনুশীলন দেখে দেখে ওজন তোলে। তার একটা স্বপ্ন সে অনেক বড় ভারোত্তোলক হবে। অলিম্পিয়ান হবে। ও নিজে থেকে ট্রেনিং করে।"
আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার টেকনিক্যাল অফিসার হিসেবে শাহরিয়াকে যখন দেশের বাইরে যেতে হয়, তখনও অনুশীলন বন্ধ করেন না শাম্মী। "অনেক সময় নানা কাজে দেশের বাইরে থাকতে হয়। ওকে ট্রেনিং করাতে পারি না। এ জন্য কিছু সরঞ্জাম কিনেছি। ফেডারেশন থেকেও কিছু নিয়েছি। এটা দিয়েই সে প্রতিদিন অনুশীলন চালিয়ে যায়।"
যুব গেমসে সোনা জেতা শাম্মির স্বপ্ন দক্ষিণ এশিয়ান গেমসেও সোনা জেতার। "আম্মু আগে খেলতেন। আমিও তাই ভারোত্তোলনে এসেছি। পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে চাই। এসএ গেমসে সোনা জেতার স্বপ্ন দেখি আমি।