Sports
আল-আমিনের বিরুদ্ধে স্ত্রীর দাম্পত্য পুনরুদ্ধারের মামলা
ক্রিড়া প্রতিবেদক, ঢাকা, ১৬ নভেম্বর ২০২২: বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের পেসার আল আমিন হোসেনের বিরুদ্ধে দাম্পত্য অধিকার পুনরুদ্ধারের মামলা করেছেন তার স্ত্রী ইসরাত জাহান। বুধবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকার প্রথম সিনিয়র সহকারী জজ ও পারিবারিক আদালত বেগম কানিজ তানিয়া রূপার আদালতে মামলাটি দায়ের করেন ইসরাত জাহান। এনিয়ে আল আমিনের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা করলেন তার স্ত্রী ইসরাত জাহান।
ইসরাত জাহানের আইনজীবী শামসুজ্জামান বলেন, "আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে ১২তম সহকারী জজ আদালতে পাঠিয়েছেন। মামলার অভিযোগে বলা হয়, আল আমিন পরকীয়ায় আসক্তির কারণে তার দুই সন্তান ও স্ত্রীকে লেখাপড়া ও ভরণপোষণ দেন না। একজন নারীর সঙ্গে তোলা ছবি ইসরাত জাহানকে পাঠিয়ে তার সঙ্গে সংসার করবেন না বলে জানান। তারপর থেকে ২ বছর ধরে কোনো ধরনের খোঁজ নেন না। আল আমিন তার বাবা-মায়ের কুপরামর্শে তাকে একতরফা তালাক দেন, যা আদতে কার্যকর নয়। তালাকের সংবাদ পেয়ে তার সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তিনি ব্যর্থ হন। আল আমিন ছাড়া তাদের সংসার জীবন অন্তঃসারশূন্য। এমতাবস্থায় তিনি দাম্পত্য জীবন পুনরুদ্ধারের জন্য এ মামলা দায়ের করেন।"
এর আগে গত ৬ অক্টোবর আল আমিন তার স্ত্রী ইসরাত জাহানকে তালাক দেন। ওইদিন আইনজীবী অ্যাডভোকেট শামসুজ্জামান জানিয়েছেন, স্ত্রীর করা মামলার আসামি আল আমিন আজ আদালতে উপস্থিত হয়ে হাজিরা দেন। এরপর আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতে লিখিত জবাব দাখিল করেন। যেখানে উল্লেখ করা হয় গত ২৫ আগস্ট তিনি স্ত্রীকে তালাক দিয়েছেন।
গত ৭ সেপ্টেম্বর আদালতে আল-আমিনের বিরুদ্ধে মামলা করেন ইসরাত জাহান। মামলায় বলা হয়, ২০১২ সালের ২৬ ডিসেম্বর বিয়ে হয় আল-আমিন ও ইসরাতের। তাদের দুটি ছেলে সন্তান রয়েছে। বেশ কিছুদিন ধরে আল-আমিন স্ত্রী ও সন্তানদের ভরণপোষণ দেন না এবং খোঁজ না নিয়ে এড়িয়ে চলছেন। গত ২৫ আগস্ট রাত সাড়ে ১০টার দিকে আল-আমিন বাসায় এসে স্ত্রীর কাছে যৌতুকের জন্য ২০ লাখ টাকা দাবি করেন। ইসরাত জাহান টাকা দিতে অস্বীকার করলে আল-আমিন তাকে এলোপাতাড়ি কিল ঘুষিসহ লাথি মেরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে তার সঙ্গে সংসার করবে না বলে জানান। ইসরাত জাহান ৯৯৯-এ টেলিফোন করে সাহায্য চাইলে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে।