Travel
মার্চ থেকে ডিজিটাল হচ্ছে বিমানের টিকেটিং
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২: মার্চ থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ডিজিটালাইজড হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর হযরত শাহ জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বলাকা ভবনে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লিমিটেডের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘২০২২ সালের মার্চ মাস থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স পেসেঞ্জার সার্ভিস সিস্টেমটাকে সম্পূর্ণ ডিজিটালাইজড করে দিচ্ছে। অনলাইনে টিকেটিং, রিজার্ভেশন, বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর চেক ইন—সবকিছু অনলাইনে হবে। এটা আমাদের প্রবাসীদের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। আজকে আন্তর্জাতিকভাবে পৃথিবীর সব দেশে এই ব্যবস্থাটা আছে। আমরা এ ক্ষেত্রে একটু পিছিয়ে ছিলাম।’
তিনি বলেন, 'আমাদের প্রায় এক কোটির মতো প্রবাসী আছে। তারা বিভিন্ন সময়ে ছুটিতে আসেন। তারা এসে যেন বিমানবন্দরে হয়রানির শিকার না হন। তাদের যথাযথ সেবা নিশ্চিত করতে হবে।'
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের আহ্বানে বিমানের প্রতীক ‘বলাকা’র ডিজাইন করেন শিল্পী কামরুল হাসান। এরপর ঢাকা-যশোর, ঢাকা-সিলেট এবং ঢাকা-কক্সবাজার অভ্যন্তরীণ রুটে বিমান চলাচল শুরু হয়। ১৯৭২ সালের ৪ মার্চ লন্ডন থেকে ১৭৯ যাত্রীকে ঢাকায় ফিরিয়ে আনা ছিল বিমানের প্রথম আন্তর্জাতিক ফ্লাইট। তার সাড়ে তিন বছরের সরকারের সময় ব্যাংকক, কলকাতা, কাঠমাণ্ডু ও দুবাই আন্তর্জাতিক রুট চালু হয়। তিনি বিমানের জন্য আন্তর্জাতিক মানের একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেন এবং ডিপার্টমেন্ট অব সিভিল এভিয়েশন প্রতিষ্ঠা করেন, যা এখন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ।'
শেখ হাসিনা বলেন, 'আওয়ামী লীগ যখনই সরকার গঠন করেছে বহির্বিশ্বের সঙ্গে আকাশপথে যোগাযোগ বাড়াতে কাজ করেছে। ১৯৯৬ সালে সরকার গঠনের পর আমরা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের উন্নয়নে ১৯৯৯ ও ২০০০ সালে দুটি বিমান বহরে যুক্ত করি। অভ্যন্তরীণ ও আঞ্চলিক ফ্লাইটের তিনটি এয়ারক্রাফট সংগ্রহ করি। ২০০১ সালে বিএনপি-জামাত জোট সরকার ক্ষমতায় এসে জাতীয় পতাকাবাহী প্রতিষ্ঠান বিমানকে পরিণত করে দুর্নীতি আর লুটপাটের স্বর্গরাজ্যে। তারা নিউইয়র্ক, ব্রাসেলস, প্যারিস, ফ্রাংকফুর্ট, মুম্বাই, নারিতা এবং ইয়াঙ্গুন রুটে বিমান চলাচল বন্ধ করে দেয়। চরম লোকসান আর অব্যবস্থাপনায় বিমান মুখ থুবড়ে পড়ে। ২০০৯ সালে আমরা সরকারের দায়িত্ব নিয়ে দেখি বিমানের সার্বিক অবস্থা খুবই নাজুক। জরাজীর্ণ বিমান বহর, বিপর্যস্ত শিডিউলসহ নানান অন্তহীন অভিযোগ।’