Travel
পর্যটকে ভরপুর কক্সবাজার সৈকত
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ৮ অক্টোবর ২০২২ : সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রতিমা বিসর্জন, সাপ্তাহিক ও ঈদে মিলাদুন্নবীর (সা.) টানা ছুটি উপলক্ষে কক্সবাজারে লাখো পর্যটকের ঢল নেমেছে। কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে উঠেছে কক্সবাজার সৈকত।
বুধবার প্রতিমা বিসর্জনের পরেরদিন থেকেই পড়েছে সাপ্তাহিক ছুটি। রোববার (১০ অক্টোবর) পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)। পূজা, সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটি মিলিয়ে অবসর কাটাতে কক্সবাজারে ভিড় করেছেন পর্যটকরা। কলাতলী, সুগন্ধা ও লাবণী পয়েন্ট, হিমছড়ি, ইনানীসহ সব পর্যটক স্পট পর্যটকে সরগরম হয়ে উঠেছে।
ভিড় রয়েছে শহর ও পর্যটন এলাকার বিভিন্ন সড়ক-উপসড়কেও। রিজার্ভ ছাড়া যাত্রী না তোলায় রীতিমতো দেখা দিয়েছে যানবাহন সংকট। গণপরিবহনগুলো পর্যটকদের রিজার্ভ ভাড়া ধরতে গিয়ে স্থানীয়দের এড়িয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ। টানা এ কয়েকদিনের ছুটিতে কয়েকশ কোটি ব্যবসার আশা করছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা।
কক্সবাজার হোটেল ও গেস্ট হাউজ মালিক সমিতির তথ্যমতে, কক্সবাজারের প্রায় সাড়ে চার শতাধিক হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট ও কটেজ রয়েছে, যেখানে লক্ষাধিক পর্যটক অবস্থান করতে পারেন। অক্টোবরের শুরু থেকে পর্যটক আগমন ভালো দেখা দিয়েছে। সব হোটেল প্রায় বুকিং। যেহেতু পর্যটন মৌসুম শুরু হয়েছে, তাই এ ভিড় শুভ লক্ষ্মণ বলছেন তারা।
দুর্গোৎসবের শেষ দিন থেকে লোকসমাগম বেড়েছে বলে জানান কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুল ইসলাম। তিনি বলেন, পর্যটনসহ পুরো শহরে তিন স্তরে নিরাপত্তা জোরদার রয়েছে। যানজট নিরসনে সৈকতের কলাতলী থেকে আশপাশের সড়কগুলোতে কাজ করছে ট্রাফিক পুলিশ।
জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ বলেন, পর্যটক হয়রানি বন্ধে হোটেল-মোটেল ও রেস্তোরাঁয় মূল্য তালিকা টাঙানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে একাধিক ভ্রাম্যমাণ আদালত মাঠে রয়েছে। সবধরনের নিরাপত্তা জোরদারে পুলিশের পাশাপাশি জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারাও কাজ করছেন। এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলার খবর আসেনি।