Travel
চলতি বছরই রেল যাবে কক্সবাজার
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ৯ জানুয়ারি ২০২৩ : সারাদেশের সঙ্গে পর্যটননগরী কক্সবাজারের রেল যোগাযোগ স্থাপন একসময় স্বপ্নই ছিল। সেই স্বপ্ন বাস্তবে রূপ দিচ্ছে সরকার। ২০২৪ সালে কাজ শেষের লক্ষ্য নিয়ে দ্রুত এগোচ্ছে চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজার রেলপথ প্রকল্প। তবে প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের দাবি, চলতি বছরের জুন থেকে অক্টোবরের মধ্যেই রেলে চেপে কক্সবাজার ভ্রমণে যেতে পারবেন পর্যটকরা।
এরইমধ্যে ৮০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে দাবি করেছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা। পরিকল্পনা মতো কাজ এগোলে এ বছরেই রেল নিয়ে স্বপ্ন বাস্তবে রূপ পাবে বলে আশা করছেন কক্সবাজারবাসী।
তথ্য মতে, আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজীকরণে পর্যটন নগরীর সঙ্গে রাজধানীসহ সারাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের দাবি বহুদিনের। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমান সরকার কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উন্নীত করার পাশাপাশি স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ের দাবি দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন সম্প্রসারণ প্রকল্প হাতে নেয়।
গুরুত্ব বিবেচনায় ২০১১ সালের ৩ এপ্রিল দোহাজারী-রামু-কক্সবাজার ও রামু-ঘুমধুম পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরইমধ্যে দোহাজারী-কক্সবাজার ১০০ কিলোমিটার রেলপথের ৮০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।
২০২৩ সাল শেষ হওয়ার আগেই কক্সবাজারে রেল চলাচলের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে প্রকল্প ও রেল মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্টরা। দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে ট্রেনে চড়ে সহজে কক্সবাজারে আসবেন পর্যটকসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষ। তেমনি সহজভাবে দেশের সব প্রান্তে যাবেন কক্সবাজারবাসীও। সহজ হবে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আনা-নেওয়া। এতে বাড়বে কক্সবাজারে পর্যটক স্রোত। পর্যবেক্ষকদের মতে, রেলপথ সচল হলে সবদিক দিয়ে ঘুরে যাবে কক্সবাজার অঞ্চলের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির চাকা।
সম্প্রতি কক্সবাজারে রেল প্রকল্পের কাজ পরিদর্শন শেষে রেলপথমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন বলেছিলেন, চলতি বছরের জুন থেকে অক্টোবরের শেষ নাগাদ দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন চালু হবে। তখন সারাদেশ থেকে মানুষ ট্রেনে চড়ে সরাসরি কক্সবাজারে যাবেন। রেলপথমন্ত্রী কক্সবাজারের আইকনিক স্টেশনের নির্মাণ কাজ দেখার পর উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে এ প্রত্যাশার কথা জানিয়ে আরও বলেন, একসময় এটি স্বপ্ন ছিল, এখন সেটা বাস্তবায়নের পথে। সারাদেশের মানুষ ট্রেনে পর্যটন নগরী কক্সবাজার যাওয়ার অপেক্ষায়।
রেলমন্ত্রী বলেন, কক্সবাজারের জন্য টুরিস্ট কোচের আদলে উন্নতমানের কোচ দিয়ে ট্রেন চালানো হবে। এজন্য নতুন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এ প্রকল্পের আওতায় ৫৪টি কোচ কেনা হবে, যেগুলোর জানালা সুপ্রশস্ত। মানুষ অনায়াসে প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখার সুযোগ পাবে।