Travel
ঢাকা-জলপাইগুড়ি ট্রেনের প্রস্তাবিত নাম ‘মিতালী এক্সপ্রেস’
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ২২ মার্চ ২০২১: বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে আরও একটি ট্রেন সার্ভিস চালু হতে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে ঢাকা-জলপাইগুড়ি চলাচলকারী ট্রেনটির নাম প্রম্তাব করা হয়েছে ‘মিতালী এক্সপ্রেস’। ভারতের আপত্তি না থাকলে এই নামটিই চূড়ান্ত হবে বলে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
রেলওয়ে সূত্র বলছে, রেলওয়ের পক্ষ থেকে রোববার (২১ মার্চ) নতুন ট্রেনের প্রস্তাবিত নাম জানানো হয়। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী ২৭ মার্চ বাংলাদেশ-ভারত দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর এই ট্রেনটি উদ্বোধন করার কথা রয়েছে।
ট্রেনটি উভয় দেশ থেকে সপ্তাহে দুই দিন করে চলাচল করবে। বাংলাদেশ থেকে সোম ও বৃহস্পতিবার ট্রেনটি যাত্রা করবে। অন্যদিকে ভারত থেকে রবি ও বুধবার যাত্রার প্রস্তাব করা হয়েছে।
আগামী ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নিউ জলপাইগুড়ি থেকে ঢাকা পর্যন্ত নতুন একটি যাত্রীবাহী ট্রেন পরিষেবা চালু হচ্ছে।
দুই দেশের রেল কর্মকর্তাদের বৈঠক শেষে ভারতের রেলওয়ের কাটিহার ডিভিশনের ডিআরএম (ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার) রবীন্দ্র কুমার ভার্মা সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
এর আগে ২০০৮ সালের ১৪ এপ্রিল বাংলা নববর্ষের দিন প্রথম যাত্রীবাহী রেল পরিষেবা চালু হয়েছিল কলকাতা-ঢাকার মধ্যে। সেদিন চালু হয়েছিল ‘মৈত্রী এক্সপ্রেস’ ট্রেন।
এরপর ২০১৭ সালের ৯ নভেম্বর দ্বিতীয় রেল পরিষেবা ‘বন্ধন এক্সপ্রেস’ চালু হয়েছিল কলকাতার সঙ্গে বাংলাদেশে খুলনার মধ্যে। আর এবার ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে চালু হচ্ছে নিউ জলপাইগুড়ি থেকে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট পর্যন্ত তৃতীয় যাত্রীবাহী রেল পরিষেবা। তবে এখনো এই ট্রেন পরিষেবার নাম কী হবে, তা ঠিক হয়নি।
ডিআরএম আরও বলেন, এই নতুন পরিষেবায় নিউ জলপাইগুড়ি ও ঢাকার মধ্যে ট্রেনটি চলবে সপ্তাহে দুদিন। নিউ জলপাইগুড়ি থেকে ছাড়বে সোম ও বৃহস্পতিবার বেলা দুইটায়। আর ঢাকা থেকে ছাড়বে মঙ্গল ও শুক্রবার দিবাগত রাত একটায়। যাত্রাপথে সময় লাগবে নয় ঘণ্টা। তবে এই পথের ভাড়া এখনো নির্ধারণ করা না হলেও ইঙ্গিত দেওয়া হয়, এসির ভাড়া ২ হাজার, চেয়ারকোচের ভাড়া ১ হাজার ৫০০ এবং স্লিপার ক্লাসের ভাড়া ১ হাজার ২০০-এর কাছাকাছি থাকবে।
নিউ জলপাইগুড়ি থেকে ঢাকার দূরত্ব ৫৩০ কিলোমিটার। এর মধ্যে বাংলাদেশ অংশে রয়েছে ৪৪৬ কিলোমিটার। ভারতের অংশে রয়েছে ৮৪ কিলোমিটার। এই দীর্ঘপথে থাকছে উভয় দেশের ১৫টি স্টেশন। তবে কোনো স্টেশনে ট্রেনটি দাঁড়াবে না।