World
যুক্তরাষ্ট্র মিয়ানমারের সহিংসতাকে গণহত্যার স্বীকৃতি দেয়ায় বাংলাদেশের সন্তোষ
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ২৩ মার্চ ২০২২: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর চালানো সহিংসতাকে গণহত্যার স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ।
ঢাকা আশা করছে, যুক্তরাষ্ট্র এখন মিয়ানমারের ওপর বেশি পরিমাণে চাপ দেবে। আর এতে করে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে গতি পাবে। মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এসব কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
ড. মোমেন বলেন, ‘আমেরিকার মতো শক্তিশালী দেশের সেক্রেটারি অব স্টেট (মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী) অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর সহিংসতাকে গণহত্যার স্বীকৃতির ঘোষণা দিয়েছে। আমরা একে স্বাগত জানাই। দেরিতে হলেও এটা ভালো সংবাদ।’
এর আগে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সহিংসতাকে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন। সোমবার ওই সিদ্ধান্তেরই আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এর মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র এই প্রথম রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সহিংসতাকে আনুষ্ঠানিকভাবে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে স্বীকৃতি দিল।
আর এর ফলে বাংলাদেশের অবস্থান আরও শক্ত হয়েছে বলে মনে করছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘এটা দেওয়ার ফলে আমাদের অবস্থান আরও শক্ত হয়েছে। এর ফলে আইসিজেতে যে মামলা চলছে তা আরও শক্তিশালী হতে পারে। আমার বিশ্বাস বড় দেশ হিসেবে তারা চাপ দিলে প্রত্যাবাসনে একটা সমাধান আসবে। আমার মনে হয়, তারা অনেক বেশি চাপ প্রয়োগ করবে মিয়ানমার সরকারকে। এতে করে মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের দেশে ফেরত নেবে। আমার ধারণা তারা (যুক্তরাষ্ট্র) এ ব্যাপারে আরও সজাগ হবে, যাতে মিয়ানমার থেকে বিতাড়িদের প্রত্যাবাসন হয়’।
প্রত্যাবাসন নিয়ে মিয়ানমার ধীরগতি করছে উল্লেখ করে মোমেন বলেন, ‘তারা (মিয়ানমার) কিন্তু কথা দিয়েছে, তারা বলেছে; নিয়ে যাবে, কিন্তু তারা বিভিন্নভাবে ধীরগতি করছে। আমাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে, রোহিঙ্গাদের যেন মঙ্গল হয় এবং তাদের একটা সুন্দর ভবিষ্যত যেন তারা গড়ে তুলতে পারে। আমরা আশা করব, তারা তাদের নিজেদের লোকগুলোকে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে নিয়ে যাবে।’
বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের রাখাইনে প্রত্যাবর্তন শুরু করতে পারলে মিয়ানমারের অপরাধ কিছুটা কমবে বলেও মনে করছেন ড. মোমেন।