World
স্বাধীনতা দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতি ব্রিটিশ এমপি-মন্ত্রীদের শ্রদ্ধা
লন্ডন, ৩১ মার্চ ২০২২: মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনীমের দেওয়া কূটনৈতিক সংবর্ধনায় ব্রিটিশ মন্ত্রী ও সিনিয়র সংসদ সদস্যরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।
এসময় তারা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন, জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলা, গণতন্ত্র ও আঞ্চলিক নিরাপত্তা জোরদারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অসামান্য নেতৃত্বের প্রশংসা করেন।
ওয়েস্টমিনস্টারে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের পাশে লন্ডনের ঐতিহ্যবাহী মেথডিস্ট চার্চ কনভেনশন সেন্টারের গ্রেট হলে আয়োজিত এ বর্ণাঢ্য সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে কনজারভেটিভ পার্টির চেয়ারম্যান ও কেবিনেট মন্ত্রী অলিভার ডাউডেন প্রধান অতিথি ছিলেন।
সম্মানিত অতিথি ছিলেন ব্রিটিশ ফরেন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিস (এফসিডিও)-এর দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া, উত্তর আফ্রিকা, জাতিসংঘ এবং কমনওয়েলথবিষয়ক মন্ত্রী লর্ড তারিক আহমাদ। যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেরেমি কুইন এমপি এবং লন্ডন ও ক্ষুদ্র ব্যবসা, ভোক্তা ও শ্রম বাজারবিষয়ক মন্ত্রী পল স্কালি এমপি অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
অন্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন শ্যাডো ফরেন সেক্রেটারি ডেভিড ল্যামি এমপি, লেবার পার্টির নেতা স্যাম টেরি এমপি এবং স্কটিশ পার্লামেন্টের সদস্য ফয়সল চৌধুরী প্রমুখ।
এছাড়া কমনওয়েলথ সেক্রেটারি-জেনারেল প্যাট্রিসিয়া স্কটল্যান্ড, ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশনের সেক্রেটারি-জেনারেল কিট্যাক লিম, ব্রিটিশ পার্লামেন্টের বিভিন্ন দলের সাংসদ, যুক্তরাজ্যে ভারতের হাইকমিশনার গায়ত্রী ইসার কুমারসহ ৫০টিরও বেশি দেশের রাষ্ট্রদূত, ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতা, শিক্ষাবিদ এবং ব্রিটিশ-বাংলাদেশি কমিউনিটির বিশিষ্ট সদস্যরা সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে অলিভার ডাউডেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবে ১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর প্রথম লন্ডন সফর এবং কনজার্ভেটিভ পার্টির প্রধানমন্ত্রী স্যার এডওয়ার্ড হিথের সঙ্গে বৈঠকের কথা স্মরণ করেন।
তিনি বলেন, ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটে ঐতিহাসিক বৈঠকটি শুধু বাংলাদেশের স্বাধীনতার একটি শক্তিশালী প্রতীকই ছিল না, এটি ছিল যুক্তরাজ্য এবং বাংলাদেশের মধ্যে গভীর এবং স্থায়ী দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ভিত্তি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে আরও শক্তিশালী বন্ধন স্থাপন করেছি, যা পারস্পরিক সহযোগিতা, সাংস্কৃতিক বন্ধন এবং মূল্যবোধের দ্বারা আবদ্ধ।
যুক্তরাজ্যের এফসিডিও মন্ত্রী লর্ড তারিক আহমাদ বঙ্গবন্ধুর চেতনা ও মূল্যবোধকে সমুন্নত রেখে একটি স্বনির্ভর, ধর্মনিরপেক্ষ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বের প্রশংসা করেন।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের অন্যতম আকর্ষণ ছিল যুক্তরাজ্যের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর বিশেষ সম্পর্কের প্রতি নিবেদিত ‘বঙ্গবন্ধু এবং ব্রিটেন’ শীর্ষক চিত্র প্রদর্শনী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে গত এক দশকে বাংলাদেশের অসাধারণ উন্নয়নের ওপর তথ্যচিত্র এবং সংস্কৃতি সচিব মো. আবুল মনসুরের নেতৃত্বে ঢাকা থেকে আগত বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির শিল্পীদের বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক পরিবেশনা।