World
'সাংস্কৃতিক গণহত্যা' চালাচ্ছে চীন: কেন্দ্রীয় তিব্বতী প্রশাসনের সভাপতি
লাসা, জুন ৬: চীনে 'সাংস্কৃতিক গণহত্যা'র পরিবেশ বিরাজ করছে বলে অভিযোগ তুলে তিব্বত সরকারের শীর্ষ নেতা পেনপা সেরিং ২০২২ সালের বেইজিং অলিম্পিক্সের আগে এ বিষয়ে সরব হতে আহ্বান জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক মহলকে। সেরিং সদ্য কেন্দ্রীয় তিব্বতী প্রশাসনের (সিটিএ) সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন।
তিনি বলেছেন, "তিব্বতে ‘সাংস্কৃতিক গণহত্যার’ একটি হুমকি রয়েছে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবশ্যই ২০২২ বেইজিং শীতকালীন অলিম্পিকের আগে চীনের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে।"
তারা চীনের সাথে শান্তিপূর্ণ সমাধানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, কিন্তু বেইজিংয়ের বর্তমান নীতি তিব্বতী সংস্কৃতির ভবিষ্যৎকে হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে।
ভারতের ধর্মশালা থেকে সেরিং বলেছেন, তিব্বতীদের সাংস্কৃতিক পরিচিতি নির্মূল হয়ে যাওয়ার পথে, তাই এই পরিণতিকে রুখতে যা করার, তা এখনই করতে হবে। তিব্বতী সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর উপর যা করা হচ্ছে, তা সাংস্কৃতিক গণহত্যার সমান, এবং এই কাজটি করা হচ্ছে রাষ্ট্রীয় নির্দেশে।
ব্যাখ্যা করে তিব্বতের অধিকার গোষ্ঠী এবং তিব্বতীরা বলছে, চীন সরকার ধর্ম, ভাষা শিক্ষা- যা তিব্বতীদের একান্ত নিজস্ব- এবং শ্রমের ওপর কঠোর নিয়ন্ত্রণ রেখেছে এবং একই সঙ্গে চীনের বৃহত্তম জাতিগোষ্ঠী হান জনগণের অভিবাসনকে উৎসাহিত করা হচ্ছে, যার ফলে নিজভূমে নিশ্চিহ্ন হবার পথে এগিয়ে চলেছে সম্পূর্ন ভিন্ন ভাষা-ধর্ম-সংস্কৃতির মানুষ তিব্বতীরা।
চীন অবশ্য এই ধরণের কোনও মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, যা করা হচ্ছে, তা তিব্বতীদের দারিদ্র্য দূর করার উদ্দেশ্যেই এবং তা স্থানীয় জনগণ সমর্থন করে।
চীন ১৯৫০ সালে তিব্বত দখল করে এবং তার পর থেকে প্রায় দেড় লাখ তিব্বতী নির্বাসনে বাস করছেন। চীনের প্রভূত্ব মানতে অস্বীকার করা তিব্বতীদের আধ্যাত্মিক নেতা দলাই লামাও বহুদিন ধরে ভারতের ধর্মশালায় বাস করছেন এবং সেখান থেকেই কাজ করে যাচ্ছে অন্তরীন তিব্বতী সরকার।
১৯৫৯ সালের পর থেকে তিব্বতে সাংবাদিক, কূটনীতিক এবং অন্যান্য বিদেশিদের সরকারি সফরের বাইরে ভ্রমণ করা নিষিদ্ধ।