World
লিবিয়া উপকূল থেকে পাঁচ শতাধিক বাংলাদেশি আটক
ত্রিপোলি, লিবিয়া, ২৭ এপ্রিল ২০২২: ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে লিবিয়া থেকে অবৈধভাবে ইউরোপে যাওয়ার চেষ্টাকালে পাঁচ শতাধিক ব্যক্তিকে আটক করেছে দেশটির পুলিশ। তাদের মধ্যে ২৪০ জন বাংলাদেশির সঙ্গে যোগাযোগ করা গেছে বলে জানা গেছে।
শনিবার (২৩ এপ্রিল) দেশটির পূর্ব উপকূলীয় জেলা মিসরাতা থেকে তাদের আটক করা হয়। পরে তাদের লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলির একটি বন্দিশিবিরে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে প্রথমে লিবিয়ার সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়। পরে লিবিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল এস এম শামীম উজ জামান বিষয়টি সংবাদমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন।
শামীম উজ জামান বলেন, লিবিয়ার মিসরাতা সৈকত দিয়ে নৌকায় করে ইউরোপের উদ্দেশে যাত্রার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন বাংলাদেশিসহ অবৈধ অভিবাসীরা। সে সময় তাদের আটক করে ত্রিপোলির নিরাপত্তাকর্মীরা। লিবিয়ার পুলিশের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, সেখান থেকে মোট ৫৪১ জনকে আটক করা হয়। তাদের প্রায় সবাই বাংলাদেশি বলে ধারণা করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, সোমবার (২৫ এপ্রিল) লিবিয়া উপকূলে একটি নৌকাডুবিতে নয়জন ব্যক্তি মারা গেছেন। তারা কোন দেশের নাগরিক প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এদিকে ভূমধ্যসাগর হয়ে বাংলাদেশিদের ইউরোপ যাত্রার সংখ্যাটা ঢাকার জন্য উদ্বেগের উল্লেখ করে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেছেন, লিবিয়ায় আটক পাঁচ শতাধিক বাংলাদেশিকে দেশটির সেফ হোমে রাখা হয়েছে। তাদের দেশে প্রত্যাবর্তন করা হবে। মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এসব কথা বলেন পররাষ্ট্র সচিব।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, লিবিয়ায় আটকদের দেশে ফিরিয়ে আনা হবে। আমাদের রাষ্ট্রদূত তাদের ফিরিয়ে আনার জন্য আইওএমসহ সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতা নেবেন। বছরখানেকর মধ্যে আমরা লিবিয়া থেকে ১ হাজারের বেশি বাংলাদেশিদের ফিরিয়ে এনেছি।
ভূমধ্যসাগর উপকূল হয়ে বাংলাদেশিদের ইউরোপ যাত্রায় কারণে সরকার কোনো চাপ অনুভব করছেন কি না-জানতে চাইলে মাসুদ বিন মোমেন, চাপ অনুভব করছি না। এর আগে যারা ফিরেছে, তাদের কোয়ারেন্টাইনের সময় আমরা তথ্য নিয়েছি। অবৈধভাবে কেউ যাক, এটা আমরা চাই না। আমরা কখনই এটাকে প্রশ্রয় দেবো না। বৃহত্তর স্বার্থে আমরা এটাকে গুরত্ব দিচ্ছি।