World
গাজায় 'গণহত্যা' বন্ধের আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার
মিউনিখ, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ : গাজায় এখন যা ঘটছে তা গণহত্যা বলে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ফিলিস্তিনি জনগণের বেঁচে থাকার এবং তাদের নিজস্ব রাষ্ট্রে থাকার অধিকার রয়েছে।
শনিবার তুরস্কের রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, “বাংলাদেশ সবসময় গণহত্যার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে। গাজায় যা ঘটছে আমি মনে করি এটা একটা গণহত্যা। তাই আমরা কখনই এটা সমর্থন করি না।”
৬০তম মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনের ফাঁকে তিনি বলেন, "গাজার জনগণের বেঁচে থাকার অধিকার আছে, এটা খুবই দুঃখজনক বিষয়। তাই আমাদের উচিত তাদের সাহায্য করা এবং এই আক্রমণ ও যুদ্ধ বন্ধ করা।"
অবরুদ্ধ গাজার মানুষের জন্য বাংলাদেশ সহায়তা পাঠিয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বিশ্বকে "পীড়িত শিশু, নারী ও ফিলিস্তিনের জনগণকে" সমর্থন ও সাহায্য করার আহ্বান জানান।
দক্ষিণ গাজার রাফা শহরে পরিকল্পিত ইসরায়েলি অভিযান সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাংলাদেশ কখনোই এ ধরনের আক্রমণকে সমর্থন করেনি।
"ফিলিস্তিনি জনগণের তাদের নিজস্ব রাষ্ট্রের অধিকার থাকা উচিত, এটি স্পষ্ট," তিনি বলেন, "দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের জন্য জাতিসংঘের প্রস্তাবগুলি বাস্তবায়ন করা উচিত।"
ইসরায়েলি বাহিনী কর্তৃক ফিলিস্তিনে নারী ও শিশুসহ নিরীহ বেসামরিক নাগরিকদের হত্যার তীব্র নিন্দা জানিয়ে সংঘাতের শুরু থেকে অবিলম্বে বর্বরতা বন্ধের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ শুরু থেকেই ফিলিস্তিনের জনগণের সাথে একাত্মতা দেখিয়েছে এবং যুদ্ধ-বিধ্বস্ত গাজার জনগণের জন্য মানবিক সহায়তা পাঠিয়েছে।
ইসরায়েলের বিমান ও স্থল আক্রমণে গাজার বেশিরভাগ এলাকা ধ্বংস হয়ে গেছে এবং এর প্রায় সব বাসিন্দাকে তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছে। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ বলছে, ২৮,৮৫৮ জন নিহত হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক।