World

কাতারের আমিরের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ,অধিকতর জ্বালানি সরবরাহে শিগগিরই চুক্তি
দোহা, ২৫ মে ২০২৩ : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বৈঠকে জ্বালানি, ব্যবসা ও বিনিয়োগ এবং জনশক্তি ও বাংলাদেশের উন্নয়ন বিষয়ে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। বুধবার কাতারের ‘আমিরি দেওয়ানে’ এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন সাংবাদিকদের এ বিষয়ে ব্রিফ করেন।
খুবই উষ্ণ ও আন্তরিক পরিবেশে এ বৈঠকটি হয়েছে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বৈঠকে জ্বালানি বিষয়ে কাতারের আমির বলেন, বাংলাদেশে অধিকতর জ্বালানি সরবরাহ নিয়ে নতুন একটি চুক্তি সইয়ের আলোচনা চলছে। তিনি প্রতিশ্রুতি দেন বন্ধু দেশ হিসেবে কাতার বাংলাদেশকে সব ধরনের সহযোগিতা করবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন বলেন, কাতারের আমিরের প্রতিশ্রুতি বাংলাদেশের জন্য বড় অর্জন। শিগগিরই নতুন চুক্তি সই হতে পারে। ২০১৭ সালের ১৫ বছর মেয়াদি একটি চুক্তির আওতায় বর্তমানে বাংলাদেশ কাতার থেকে ১ দশমিক ৮ থেকে ২ দশমিক ৫ মিলিয়ন মেট্রিক টন জ্বালানি আমদানি করছে। কিন্তু বাংলাদেশ কাতার থেকে আরও বেশি এলএনজি চাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করে কাতারের আমির বলেন, তারা এক সময় জানতো বাংলাদেশ দুযোর্গ এবং দারিদ্র পীড়িত দেশ। কিন্তু শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর তিনি বাংলাদেশের খাদ্য সংকট দূর করেছেন। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, গত সাড়ে ১৪ বছরে তার সরকার দরিদ্র মানুষের হার ৪১ শতাংশ থেকে ১৮ দশমিক ৭ শতাংশে এবং অতি দারিদ্র্যের হার ২৫ শতাংশ থেকে ৫ দশমিক ৬ শতাংশে নামিয়ে এনেছে। তিনি বলেন, তার জীবনের একমাত্র লক্ষ্য জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্য মুক্ত উন্নত বাংলাদেশ গড়া।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা বেশ কিছু ক্ষেত্রে অগ্রগতি লাভ করেছি। কিন্তু আমার কাজ শেষ হয়নি। আমি আরও কাজ করতে চাই। কিন্তু একা পারবো না। আপনার সহযোগিতা প্রয়োজন। আমাদের আরও বিনিয়োগ প্রয়োজন। তিনি বলেন, বিদেশি বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ উন্মুক্ত। পারস্পরিক লাভে আপনারা বিনিয়োগ নিয়ে আসতে পারেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাতারের আমিরকে এ বছর বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান। জবাবে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি বলেন, তিনি অবশ্যই বাংলাদেশ সফর করবেন এবং এটি এই বছরের মধ্যেই হবে।