World
রাশিয়ার সেনা সাধারণ মানুষকে উদ্ধার করতে দিচ্ছে না : রেডক্রস
কিয়েভ, ৭ মার্চ ২০২২: আন্তর্জাতিক সংগঠন রেডক্রস অভিযোগ করেছে, মারিউপল থেকে দুইবার সাধারণ মানুষকে উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়েও ব্যর্থ হয়েছে তারা, কারণ, রাশিয়ার সেনা সাধারণ মানুষকে সরিয়ে নেয়ার জন্য কোনো সেফ প্যাসেজ দিচ্ছে না, এবং তারা লাগাতার বোমাবর্ষণ করছে এবং সঙ্গে ছোঁড়া হচ্ছে গোলা।
এই পরিস্থিতিতে বহু মানুষ সেখানে কার্যত বন্দি হয়ে আছেন। রাশিয়ার ক্রমাগত আক্রমণের ফলে তারা যে কোনো সময় আহত বা নিহত হতে পারেন।
গত শনিবার থেকে ওই অঞ্চল থেকে সাধারণ মানুষকে উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে রেডক্রস।
এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রোববার এক ভিডিয়ো বার্তায় জানিয়েছেন, রাশিয়া বন্দর শহর ওডেসা সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে এবং সেখানেও একের পর এক বোমাবর্ষণ শুরু করেছে।
এদিন ভিডিও বার্তায় রাশিয়ার বিরুদ্ধে ফের একগুচ্ছ অভিযোগ করেছেন জেলেনস্কি। তার বক্তব্য, রাশিয়ার বিরুদ্ধে গোটা বিশ্ব যে একাধিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে, তা যথেষ্ট নয়। কারণ, তারপরেও রাশিয়ার আগ্রাসন এতটুকু কমেনি, বরং বেড়েছে।
রাজধানী কিয়েভের অদূরে ইউক্রেনের একটি সেনা ঘাঁটিতে রাশিয়া আক্রমণ চালানোর ঘোষণা দেওয়ার পরে বিবৃতিটি প্রকাশ করেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি।
ইউক্রেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রী দিমিত্র কুলেবা জানিয়েছেন, রাশিয়া যতই আক্রমণ চালাক, ইউক্রেনও তার জবাব দিচ্ছে। ইউক্রেনের সেনা এবং সাধারণ মানুষের পাশাপাশি ৫২টি দেশের ২০ হাজার স্বেচ্ছাসেবক ইউক্রেনে এসে লড়াই করছেন। এটা প্রমাণ হয়ে গেছে যে, শুধু কথায় নয়, গোটা বিশ্ব কাজেও ইউক্রেনের পাশেই আছে।
এরই মধ্যে রাশিয়া দাবি করেছে, ইউক্রেনের সবচেয়ে বড় সেনা ঘাঁটি তারা ধ্বংস করে দিয়েছে। মস্কো'র দাবি, এই সেনা ঘাঁটিটি আক্রমণের আগে তারা সেখান থেকে সকলকে চলে যেতে বলেছিল। যদিও ইউক্রেন এখনো সেনা ঘাঁটি ধ্বংস নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
জাতিসংঘ জানিয়েছে, এখনো পর্যন্ত ১৫ লাখেরও বেশি মানুষ ইউক্রেন ছেড়ে আশপাশের দেশগুলিতে শরণার্থী হয়ে পৌঁছেছন, এবং যত দিন যাচ্ছে, এই সংখ্যাটি লাফিয়ে বাড়ছে এবং এটি আরো বাড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ।
এদিকে, রাশিয়া-ইউক্রেন লড়াইয়ের রেশ এসে পড়েছে বাজারেও। আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম প্রতিদিনই বাড়ছে।
রোববার ব্যারেল প্রতি তেলের দাম ছিল ১৪০ ডলার যা ২০০৮ সালের পর থেকে সর্বোচ্চ।
২০০৮ সালে সর্বোচ্চ তেলের দাম উঠেছিল ব্যারেল প্রতি ১৪৭ ডলার ৫০ সেন্ট। এবার যেভাবে তেলের দাম উঠছে, তাতে সেই রেকর্ডও ভেঙে যেতে পারে বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক মহল।