Bangladesh

'Keraniganj 'gearing' up for Khaleda Zia

'Keraniganj 'gearing' up for Khaleda Zia

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 15 May 2019, 07:56 am
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, মে ১৫ : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসা শেষ হলে খালেদা জিয়াকে আর নাজিমুদ্দিন রোডের পুরনো কারাগারে নেওয়া হবে না, তাকে স্থানান্তর করা হবে কেরানীগঞ্জে তিন বছর আগে চালু হওয়া নতুন কেন্দ্রীয় কারাগারে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, নাজিমুদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে যেখানে খালেদা জিয়াকে রাখা হয়েছিল, সেই ভবনটি সংস্কার করা হবে। কেরানীগঞ্জে মহিলা বন্দিদের কারাগারটি এতদিন প্রস্তুত ছিল না বলে তাকে পুরাতন জেলখানায় রাখা হয়েছিল। মহিলা কারাগার এখন প্রস্তুত। কাজেই তাকে এখন সেখানে রাখা যাবে।


নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে দুই বছর আগেই বন্দিদের কেরানীগঞ্জে নির্মিত নতুন কারাগার ভবনে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। গতবছর ফেব্রুয়ারিতে জিয়া এতিমখানা দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদার সাজা হলে তাকে ওই পুরনো কারাগারের একটি ভবনে রাখা হয়। সেখানে তিনিই ছিলেন একমাত্র বন্দি। পরিত্যক্ত ওই কারাভবনের স্যাঁতস্যাঁতে কক্ষে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের মারাত্মক অবনতি হয়েছে বলে অভিযোগ করে আসছিলেন বিএনপি নেতারা।


চকবাজারের চুড়িহাট্টায় অগ্নিকা-ে হতাহতের ঘটনার পর ওই এলাকার কয়েকশ গজ দূরে কেন্দ্রীয় কারাগারে খালেদা জিয়া নিরাপত্তা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।


তবে মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহে কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে খালেদা জিয়াকে অন্য কারাগারে স্থানান্তরের পরিকল্পনার খবর এলে রিজভী বিষয়টিকে বর্ণনা করেন ‘সরকারের চক্রান্ত’ হিসেবে। মার্চের ২৭ তারিখ এক অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিশ্চিত করেন, খালেদা জিয়াকে শিগগিরই কেরানীগঞ্জের নতুন কারাগারে স্থানান্তরের চিন্তাভাবনা করছেন তারা। এর চার দিনের মাথায় ১ এপ্রিল খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য কারাগার থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তখন থেকেই তিনি কেবিন ব্লকের ৬২১ নম্বর কেবিনে আছেন।


খালেদা জিয়া নাজিমউদ্দিন রোডের কারাগারে থাকার সময় সেখানে অস্থায়ী এজলাস বসিয়ে তার বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলার বিচার চলছিল। সেসব মামলার বিচারে কেরানীগঞ্জের কারাগারেও আদালত বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।