Bangladesh

কেন বৈঠকে বসছেন না? হাসিনা, খালেদাকে হাই কোর্ট

কেন বৈঠকে বসছেন না? হাসিনা, খালেদাকে হাই কোর্ট

| | 26 May 2013, 04:14 am
ঢাকা, মার্চ ২৭: হাই কোর্ট বুধবার আওয়ামী লীগ প্রেসিডেন্ট শেখ হাসিনা ও বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে বুধবার একটি রুল জারি করেন ব্যাখ্যা দিতে যে কেন তাঁদের নির্দেশ দেওয়া হবে না সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অরাজকতার সমাধানের জন্য বৈঠকে বসতে।

 দুই নেত্রীকে চার সপ্তাহের সময় দেওয়া হয়েছে হাই কোর্টকে জবাব দেওয়ার জন্য।

 
আদালতের রুল অনুযায়ী পরবর্তী নির্বাচন সুষ্ঠু ভাবে পরিচালনা করা নিয়ে হাসিনা ও খালেদার বৈঠক সংসদের ভেতরে বা বাইরে হতে পারে।
 
মার্চ ১৬ তারিখে, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ বলেন যে আওয়ামী লীগ সরকার তাদের সাথে আলোচনায় বসতে আন্তরিক বা আগ্রহী নয়।
 
"সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রীরা এক-একজন এক-এক রকম কথা বলছেন এই আলোচনা সভা নিয়ে। তাতেই বোঝা যাচ্ছে যে তাঁরা এই আলোচনা সভাকে কোন গুরুত্ব দিচ্ছেন না," আহমেদ বলেন।
 
"আমরা শুধু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে একটা কথা স্পষ্ট করে দিতে চাই যে তাঁকে ঘোষণা করতে হবে যে আগামী নির্বাচন একটি নন-পার্টি সরকারের অধীনে হবে," তিনি বলেন। 
 
অন্যদিকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেন রাজনৈতিক অচলাবস্থা থেকে বেরনোর জন্য সরকার আলোচনায় বসতে রাজি যদি বিরোধী নেত্রী (খালেদা জিয়া) তাতে অংশগ্রহণ করেন।
 
"আলোচনার মাধ্যমে সব সমস্যার সমাধান সম্ভব। সরকারের দরজা সবসময় খোলা আছে আলোচনার জন্য। যদি খালেদা জিয়া রাজি হন, তাহলে সরকার নিঃশর্ত আলোচনায় বসতে প্রস্তুত," আশরাফুল জানান।
 
প্রসঙ্গত, মার্চ ১৪ তারিখে, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান আওয়ামী লীগ প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং  বাংলাদেশ ন্যাশানালিষ্ট পার্টির (বিএনপির) চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে এক সাথে একবার বসতে অনুরোধ করেন।
 
"একবার দয়া করে এক সাথে বসুন। কোন আলোচ্যসুচীর প্রয়োজন নেই। শুধু এক সাথে বসে এক কাপ চা খান। একে অপরের সাথে দেখা করুন, সৌজন্য বিনিময় করুন," রহমান হাসিনা ও খালেদার উদ্দেশ্যে বলেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের এক অনুষ্ঠানে।
 
"সে-রকম হলে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আপনাদের এক সাথে আলোচনায় বসার উদ্যোগ নেবে," তিনি বলেন।
 
"আপনারা সারা দেশকে একটা রাস্তা দেখাতে পারবেন যার দ্বারা তারা এই রাজনৈতিক অরাজকতার থেকে বেড়িয়ে আস্তে পারবেন," রহমান বলেন।