Bangladesh
ভবন ধসে এখনো পর্যন্ত মৃত ৩৪০
ঢাকা, এপ্রিল ২৭: ঢাকার সাভারে ভবন ধসে মৃতের সংখ্যা শনিবার বেড়ে দাঁড়াল ৩৪০-এ।
উদ্ধারকারীরা শনিবার নয় তলা রানা প্লাজার ধ্বংসাবশেষ থেকে টেনে বের করে ২৫টি মৃতদেহ।
১৯জন মানুষকে জীবিত উদ্ধার করা হয় শনিবার।
এখনো পর্যন্ত ২৪২৫জনকে রানা প্লাজার ধ্বংসাবশেষ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
"আমরা আজ দুপুর ১টা ২০ অবধি ৩৪০টি মৃতদেহ পেয়েছি। ৩২৬টি দেহ তাদের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে," জানান পুলিশ কন্ট্রোল রুমের এক অফিসার।
শনিবার সকালে তিনজন মানুষকে জীবিত পায় রানা প্লাজার দ্বিতীয় তলাতে; তাদের দুপুরের মধ্যে উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধারকারীরা জানান তারা কোন ভারি যন্ত্রপাতি ব্যবহার করছেন না কেননা তারা মনে করছেন যে আর জীবিত মানুষ আছে ধ্বংসাবশেষের নীচে।
দুটি শক্তিশালী ক্রেন শনিবার ঘটনাস্থলে পৌঁছয় উদ্ধারকার্যে ব্যবহারের জন্যে।
বুধবার ঢাকার সাভার এলাকায় রানা প্লাজা ধসে পড়ে।
শনিবারেও চলতে থাকে উদ্ধারকার্য।
শাহিনুর ইসলাম, ইন্টার সার্ভিসেস জন সম্পর্ক পরিচালক, জানানঃ "সরকারের আদেশ অনুযায়ী মানুষের জীবন বাঁচানো আমাদের প্রধান কর্তব্য। আমরা ততক্ষণ উদ্ধারকার্য চালাবো যতক্ষণ না শেষ মানুষটিকে আমরা টেনে বের করছি।"
"আমাদের কাছে জরুরী সব যন্ত্রপাতি আছে। আমরা সেগুলির যথাযত প্রয়োগ করছি," ইসলাম বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুক্রবার রানা প্লাজার মালিক ও চারটি বস্ত্র কারখানার মালিকদের গ্রেফতারের নির্দেশ দেন।
"এই নির্দেশ সব আইন সংস্থাগুলিতে পাঠানো হয়ে গেছে," জানান প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী (মিডিয়া) মাহবুবুল হক শাকিল।
শাকিল জানান পুলিশ ইতিমিধ্যেই তাদের অপারেশন শুরু করেছে ভবন ধসের জন্য দায়ী ব্যাক্তিদের গ্রেফতার করার জন্যে।
প্রধানমন্ত্রীর এই নির্দেশের কিছু ঘণ্টা আগেই রানা প্লাজার মালিক সহেল রানার দুই আত্মীয়কে তাদের গ্রাম মানিকগঞ্জ থেকে আটক করা হয়েছে।
ইতিমধ্যে, সাভার বিল্ডিং ভেঙে পড়ার ঘটনায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বুধবার রাতে সাভার থানায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়।
রানা প্লাজার মালিক সহেল রানাকে দুটি মামলাতেই দোষী হিসেবে ব্যাক্ত করা হয়েছে, জানান সাভার থানার সহকারী সাব-ইন্সপেক্টর মোঃ জামিল আহমেদ।
রাজধানী উন্নয়ন কতৃপক্ষের অনুমোদিত কর্মকর্তা হেলালুদ্দিন রানার বিরুদ্ধে একটি কেস ফাইল করে বিল্ডিংটির গঠনমূলক ত্রুটির ও সেটি নিকৃষ্ট মানের উপকরণ ব্যবহার করে এবং বিল্ডিং কোড লঙ্ঘন করে তৈরি করার অভিযোগে।
সাভার থানার সাব-ইন্সপেক্টর ওয়ালি আশরাফ দ্বিতীয় মামলাটি দায়ের করেন রানা, রানার পিতা আবদুল খালেক ও রানা প্লাজায় অবস্থিত পাঁচটি বস্ত্র কারখানার মালিকদের বিরুদ্ধে মানুষের প্রাণসংশয় ও সম্পত্তি ধ্বংসের অভিযোগে।
বস্ত্র কারখানার মালিকদের নাম এখনো জানা যায় নি।
রানা প্লাজায় একটি বাজার, অনেক কয়টি বস্ত্র কারখানা ও ব্রাক ব্যাঙ্কের একটি শাখা আছে।
ভবনটি বুধবার সকাল পৌনে নয়টা নাগাদ ভেঙে পড়ে।