Bangladesh

চরমে উঠল বিদ্যুৎ সংকট

চরমে উঠল বিদ্যুৎ সংকট

| | 28 Aug 2013, 04:07 am
ঢাকা,অগাস্ট ২৮ ঃ কয়েকদিন থেকে চলতে থাকা বিদ্যুৎ ঘাটতি পৌঁছে গেল ১,১০০ মেগাওয়াটে, আর তার ফলে ভ্যাপসা গরমের ভিতর ঘন ঘন বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় চূড়ান্ত দুর্ভোগ পোহালেন সাধারন মানুষ।

 রাজধানী ঢাকা গতকাল বিদ্যুৎবিহীন ছিল চার থেকে ছ ঘন্টা, আর গ্রাম অথবা মফস্বল অঞ্চলে বিভিন্ন মেয়াদে  বিদ্যুৎ চলে গিয়েছিল বারোবার পর্যন্ত।

 
রঙপুর, নারসিংডি, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, রাজশাহি এবং বরিশাল থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী, বিদ্যুৎ সরবরাহের পরিস্থিতি বেশি খারাপ হতে থাকে রমজানের পর থেকেই, আর তা শোচনীয় অবস্থায় পৌঁছায় সোমবার।
 
ঘাটতির ফলে ঘন ঘন বিদ্যুৎ ছাঁটাই বড় রকমের ক্ষতিকর প্রভাব ফেলেছে শিল্প উৎপাদন, স্বাস্থ্য পরিষেবা এবং সরকারি-বেসরকারি অফিসের কাজকর্মের উপর।
 
 বিদ্যুৎ ছাঁটাইয়ে জর্জরিত বিক্ষুব্ধ মানুষ দেশের বিভিন্ন জায়গায় স্থানীয় বিদ্যুৎ সরবরাহ কেন্দ্রগুলি ঘেরাও করেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
 
সরকারি সংস্থা পাওয়ার ডেভলপমেন্ট বোর্ড এবং ন্যাশনাল লোড ডিসপ্যাচ সেন্টারের সূত্র অনুযায়ী, গত রবিবার রাত দশটার সময় বিদ্যুৎ ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছিল ১,০০০ মেগাওয়াটে এবং পরেরদিন বিকেল চারটা পর্যন্ত সেই পরিমাণ ঘোরাফেরা করে ১,০০০ থেকে ১,১০০ মেগাওয়াটের মধ্যে।
 
সবকটি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলি, যাদের মোট উৎপাদন ক্ষমতা ৮,৫৩৭ মেগাওয়াট, একসাথে মিলেও দিনের সর্ব্বোচ্চ চাহিদা, ৪,৭০০ মেগাওয়াট পূরণ করতে পারেনি।
 
পাওয়ার বোর্ড সদস্য তমাল চক্রবর্তি জানিয়েছেন, রমজান পর্যন্ত সার কারখানাগুলি বন্ধ থাকায় বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলিতে উৎপাদনের জন্য  বেশি মাত্রায় গ্যাস পাওয়া যাচ্ছিল। "কিন্তু এখন সার কারখানাগুলি খুলে যাওয়ায় বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলিতে আর সেই পরিমাণে গ্যাস সরবরাহ আসছেনা," তিনি বলেন। 
 
 
অগাস্টের মাঝামাঝি সময় থেকেই অয়েল, গ্যাস অ্যান্ড মিনারেল রিসোর্সেস কর্পোরেশন, যার আর এক নাম পেট্রোবাংলা,  ১০০ মিলিয়ন কিউবিক ফিটের বেশি পরমাণ প্রাকৃতিক গ্যাস বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলি থেকে সরিয়ে সার কারখানাগুলিকে দিয়েছে বলে জানা গেছে।