Bangladesh

100 government employees arrested
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘ঘুষ খাওয়ার অভিযোগে কমিশন অনেককেই গ্রেফতার করছে। বিগত সাড়ে তিন বছরে ৮০টি ফাঁদ মামলা পরিচালনা করে প্রায় একশ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাতে কি ঘুষ খাওয়া একেবারে বন্ধ হয়েছে? হয়তো হয়নি। কিন্তু যখন ঘুষখোরদের গ্রেফতার করা হচ্ছে, তাতে অন্য ঘুষখোররা হয়তো শঙ্কিত হচ্ছে। এটাই প্রদর্শন প্রভাব। কমিশন এ কাজটিই করছে।’
তিনি বলেন, ‘দুর্নীতি সর্বগ্রাসী, সর্বভুক এবং ধ্বংসাত্মক অপরাধ। এটি এমন অপরাধ যার প্রভাব সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে। কোনো একটি প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতির ঘটনা ঘটলে, অসংখ্য প্রতিষ্ঠানে এর প্রভাব পড়ে। তাত্ত্বিকভাবে বলা যায়, কমিশনের মামলায় শতভাগ সাজা হওয়া উচিত। কারণ, কমিশনের প্রতিটি মামলা দালিলিক সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে দায়ের করা হয়। এখানে শোনা কথার সাক্ষীর প্রয়োজন নেই। তারপরও কেন শতভাগ মামলায় সাজা হচ্ছে না? গলদটা কোথায়?’
আইনজীবীদের উদ্দেশে ইকবাল মাহমুদ বলেন, মামলায় হেরে যাওয়ার পিছনে অভিযোগপত্রের ত্রুটি, নাকি প্রসিকিউশনের ত্রুটি, না অন্য কিছু? এগুলো আপনারা চিহ্নিত করবেন। আপনারা নামি-দামি আইনজীবী, সমাজের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আপনাদের যোগ্যতা ও কাজের অনুপাতে কমিশন থেকে অর্থ দেয়া হয় না। এ কথা ঠিক। তবে সমাজ, দেশ ও জাতির স্বার্থে আপনারা দুর্নীতির মতো সর্বভুক অপরাধের বিরুদ্ধে লড়াই করছেন।