Bangladesh

15 thousand Muktijoddhas to get houses worth rs. 15 lakh

15 thousand Muktijoddhas to get houses worth rs. 15 lakh

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 09 Nov 2019, 09:47 am
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, নভেম্বর ৯ : বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল ১৫ হাজার মুক্তিযোদ্ধাকে ঘর-বাড়ি করে দেয়া হবে। এক একটি বাড়ির মূল্য হবে ১৫ লাখ টাকা।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এ কথা জানান।  মন্ত্রী শুক্রবার সকালে গাজীপুর জেলা শহরে শহীদ বঙ্গতাজ অডিটরিয়ামে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপ-কমিটি ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন।


তিনি বলেন, আগামী ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে রাজাকারদের তালিকা ঘোষণা করা হবে। বিসিএস এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাঠ্য বইয়ে মুক্তিযোদ্ধা ও রাজাকারদের ভূমিকা নিয়ে লেখা সংযুক্ত করা হবে। মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা নিয়ে অসন্তোষ আছে। যা হওয়া উচিত তা হয়নি। আগামী বছর বঙ্গবন্ধুর শত বর্ষপূর্তিতে তা পূরণ করা হবে।


মন্ত্রী বলেন, আগামী জানুয়ারিতে প্রত্যেক মুক্তিযোদ্ধাকে পরিচয়পত্র দেয়া হবে। পরিচয়পত্রের পেছনে তারা কি কি সুযোগ সুবিধা ভোগ করতে পারবেন তা লেখা থাকবে। জানুয়ারি থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের সকল কবর একই ডিজাইনে করে দেয়া হবে। তিনি আরও বলেন, পাঠ্যসূচিতে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের গৌরবগাথা যেমন লেখা থাকবে, একইসঙ্গে একাত্তর সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী এবং তাদের দোসর আলবদর আলসামস, জামায়াতে ইসলাম, রাজাকারদের কি ভূমিকা ছিল তাও পাঠ্যপুস্তকে লেখা থাকবে। বিসিএস পরীক্ষায় ২৩ বছরের মুক্তিসংগ্রামের উপর ৫০ নম্বর এবং মুক্তিযুদ্ধের উপর ৫০ নম্বর, মোট ১০০ নম্বর-২০২০ সাল থেকে প্রবর্তিত হবে।


গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মুবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান মো. রশিদুল আলম। তিনি বলেন, ৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করা হয়েছে। তাদের হেয় প্রতিপন্ন করা হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে ঐক্য বজায় রাখতে হবে। আমারা এক হয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ গঠন করবো।


গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় প্রধানমন্ত্রীর চেতনায় দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। অগ্রগতির এ ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। তিনি আরও বলেন, মুক্তিযাদ্ধাদের নামে সিটির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কের নামকরণ করা হবে। তাদের হোল্ডিং ট্যাক্স মওকুফসহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দেয়া হবে।


অনুষ্ঠানে ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা যুদ্ধকালীন তাদের বিভিন্ন অভিজ্ঞতা ও বর্তমানে তাদের বিভিন্ন সমস্যার বিষয় তুলে ধরেন।