Bangladesh

19 Bangladeshis down in home in Dubai
এসময় প্রাণের মায়া ত্যাগ করে বাণিজ্যিক রাজধানী দুবাইবাসীর সেবায় ঘর ছেড়েছেন ১৯ বাংলাদেশি তরুণ-তরুণী। ৩১ মার্চ থেকে লকডাউনে থাকা বিভিন্ন এলাকায় বাংলাদেশিদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় কাজ করছেন তারা।
ইতোমধ্যেই লকডাউনে বন্দি প্রবাসীদের পাশে দাঁড়িয়েছে দেশটির বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সংস্থা। পাশাপাশি ত্রাণ সহযোগিতা দিচ্ছে বিভিন্ন ব্যবসায়ী, সংগঠন ও দূতাবাসগুলো। সরাসরি দুবাই পুলিশের সার্বিক সহযোগিতায় ব্যতিক্রমী ভূমিকা পালন করছে ১৯ জনের স্বেচ্ছাসেবী দল।
সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত দুটি দলে বিভক্ত হয়ে কাজ করছেন তারা। কখনও বাংলাদেশিদের বাসা-বাড়িতে থাকার তাগাদা দিচ্ছেন, কখনো মেডিকেল টিমের সঙ্গে যোগাযোগ করে অসুস্থ প্রবাসীদের চিকিৎসা নিশ্চিত করছেন। আবার কখনও সরকারি ব্যবস্থাপনায় দেওয়া খাবার বিনামূল্যে পৌঁছে দিচ্ছেন স্বদেশিদের হাতে।
স্বেচ্ছাসেবী ইউনিটের একাধিক কর্মী জানান, তাদের করোনার দিনলিপি। দিনের শুরুটা হয় সচেতনতা দিয়ে। লকডাউনে থাকা একেকটি ভবনের প্রায় প্রত্যেককেই পরীক্ষা করা হচ্ছে। দুবাইয়ের আল সাবখা বাস স্টেশনে অস্থায়ীভাবে তৈরি করা হয়েছে করোনা পরীক্ষা কেন্দ্র। যাদের পরীক্ষা করা হয়, তাদের দুবাই সরকারের অর্থায়নে পাঁচ কিংবা চার তারকা হোটেলে কোয়ারেন্টাইনে নিয়ে যাওয়া হয়।
তিনদিনের মাথায় যাদের রিপোর্ট নেগেটিভ আসে, তাদের বাসায় ফেরার অনুমতি মিলে। আর যারা পজিটিভ রিপোর্ট পেয়ে করোনা শনাক্ত হচ্ছে, তাদের সরাসরি নিয়ে যাওয়া হয় আল ওয়ার্সন অস্থায়ী হাসপাতালে। স্বেচ্ছাসেবক ইউনিটের সদস্যদেরও সুস্থতা নিশ্চিত করতে শারীরিক পরীক্ষা করছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
দিনের কর্মসূচিতে থাকে দুপুর ও সন্ধ্যার খাবার বিতরণ কার্যক্রম। দুপুরের খাবার বেলা ১২টার পর আবার রাতের খাবার সন্ধ্যা ৬টায়। এভাবে প্রতিদিন দু’বেলা বিনামূল্যে খাবার বিতরণ করছে স্বেচ্ছাসেবী এই ইউনিট। এই খাবার সরবরাহ করে দুবাই পুলিশ।
লকডাউনে থাকা এলাকাটিতে প্রায় বিশ হাজার বাংলাদেশি হলেও খাবারের জোগান আসে দুই হাজারের মতো। পর্যাপ্ত খাবারের সংকুলান হচ্ছে না জানিয়ে লকডাউনে থাকা এরিয়াগুলোতে বাংলাদেশ মিশনের পক্ষ থেকেও খাবার সরবরাহের দাবি করেন স্বেচ্ছাসেবকরা। প্রতিদিনের নিয়মিত কার্যক্রম শেষে স্বেচ্ছাসেবকদের নিয়ে যাওয়া হয় বিভিন্ন হোটেলে। সেখানে তাদের প্রত্যেকের আলাদা কক্ষে থাকতে দেওয়া হয়।