Bangladesh

জঙ্গিবাদ শেষ করতে লড়াইয়ের ডাক দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
লড়াইয়ে দেশের মানুষকেও বার বার পাশে টেনে নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। দেশের নেত্রী হিসেবে সবাইকে এই সমস্যা মেটানোর জন্য একসাথে লড়বার জন্য বলেছেন দেশের মানুষকে। এমনকি বাবা-মায়েদেরও নিজেদের মতন করে এই লড়াইয়ের অঙ্গ হওয়ার লক্ষ্যে তাদের দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়েছেন।
হাসিনা শনিবার দেশের মানুষকে আবার একবার আশ্বাস দিয়েছেন যে উনি এই মাটি থেকে কোনো ধরনের জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড হতে দেবেন না।
উনি বলেন যে দেশের মানুষকে অনার সরকার শান্তি ও নিরাপত্তা দেবে।
"কোনো ধরনের জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড আমরা বাংলার মাটিতে হতে দেব না," হাসিনা বলেন।
এই কথাগুলি হাসিনা আজ এক অনুষ্ঠানে নিজের বক্তব্য রাখবার সময় বলেছেন।
হাসিনা বলেন যে দেশের মানুষ যাতে শান্তি পান সেই ভাবেই ওনার সরকার কাজ করবে।
" আমি বিশ্বাস করি, অবশ্যই আমরা তা পারব," প্রধানমন্ত্রী বলেন।
প্রধানমন্ত্রী ধর্মের নামে জঙ্গিবাদী তৎপরতাকে নিন্দা করেছেন।
কিছুদিন আগে বাবা-মায়েদের নিজেদের সন্তানদের বেশি সময় দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঙ্গলবার বুঝিয়ে দিয়েছেন জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাবে বাংলাদেশ ও এই সমস্যা উপরে দেওয়া হবে আগামী দিনে।
কঠোর ভাষায় সন্ত্রাসীদের হুমকি দিয়ে শেখ হাসিনা বলেছেন যে ওনার সরকার লড়াই চালিয়ে যাবেন।
দেশের মানুষকে ওনার উপরে আস্থা রাখার ইঙ্গিত দিয়ে, হাসিনা বলেন যে জঙ্গি হামলা তদন্তে সব বাহিনীর সমন্বয়ে ‘বিশেষ টিম’ করা হয়েছে।
উনি জাতীয় সংসদকে জানান যে জঙ্গিবিরোধী ‘কম্বিং অপারেশন’ দেশে চলছে।
"এই ঘটনাকে আমরা অত সহজভাবে নিইনি। আমি এই ঘটনার জন্য একটা বিশেষ তদন্ত টিম করে দিয়েছি। প্রায় সকল বাহিনীকে নিয়ে এই বিশেষ টিম করে দেওয়া হয়েছে," হাসিনা বলেন।
দেশ থেকে সন্ত্রাসবাদ উপড়ে ফেলার লক্ষ্যে নিজের মতামত জানিয়ে, উনি বলেনঃ "একেবারে শেকড় পর্যন্ত আমাদের পৌঁছাতে হবে। আমরা সেই লক্ষ্যে পদক্ষেপ নিয়েছি।"
হাসিনা দেশের বাবা-মায়েদের নিজেদের সন্তানদের আরও সময় দিতে বলেন উনি।
দেশে কিছুদিন আগে ঘটে যাওয়া গুলশান হামলার ঘটনায় উচ্চ মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান জড়িত থাকায় জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসের নতুন এক অধ্যায় শুরু হয়েছে।
হাসিনা বলেন, "ছেলেমেয়েদের কাছে টেনে নিন।"
উনি বাবা-মা কে নিজের সন্তানের সাথে আরও মন খুলে গল্প করবার জন্য আহ্বান করেন।
"ছেলেমেয়েরাও যেন মা-বাবার সঙ্গে মন খুলে গল্প করতে পারে, পরিবারে সেই পরিবেশ তৈরি করুন," প্রধানমন্ত্রী বলেন।
গণভবনে ভিভিআইপি নিরাপত্তায় নিয়োজিত বাহিনী এসএসএফের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এই কথাগুলি বলেছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেনঃ "ছেলেমেয়েদের সময় দেওয়া মা-বাবার কর্তব্য বলে মনে করি। সন্তানকে সময় দিতে হবে। তাদের খোঁজখবর নিতে হবে।"
উনি মানুষ আবার আশ্বাস দিয়ে বলেছেন যে সরকার জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে।
নিজের দক্ষতা দিয়ে ও নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা আরও একবার বুঝিয়ে দিয়ে, হাসিনা এই লড়াইয়ে পাশে পেয়েছেন বহু বিস্ব নেতাদের।
দেশে মাটিতে গুলশানের মত জঙ্গি হালার ছায়ায়, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বলেছেন যে উনি যেন সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নিজেকে একা না ভাবেন।
মোদী বলেন যে ভারত এই লড়াইয়ে সব সময় বাংলাদেশের পাশে থাকবে।
"নিজেকে কখনো একা ভাববেন না।ভারতের পূর্ণ সমর্থন আপনার সঙ্গে আছে," মোদী বলেন।
বেনাপোল স্থলবন্দরের সংযোগ সড়ক দিয়ে ভারতের নবনির্মিত পেট্রাপোল স্থলবন্দরের ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্টের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবার সময় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দুই দেশের নেতা নিজেদের বক্তব্য রাখেন।
এই সময় জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে কথা বলতে গিয়ে মোদী হাসিনাকে এই কথাগুলি বলেন।
হাসিনার প্রশংসা করে, মোদী বলেনঃ "আপনার নেতৃত্ব পুরো অঞ্চলের জন্য একটি উদাহরণস্বরূপ।"
গত বুধবার হাসিনা বলেছিলেন যে ব্যাক্তিরা গুলশানে হামলার সাথে যে জঙ্গিরা জড়িত ছিলেন ও তাদের মদদদাতাদের ধরে শাস্তি দেওয়া কঠিন হবে না।
"আজকে যেহেতু আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন আমরা পেয়েছি এবং সবাই যৌথভাবে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ মোকাবিলার জন্য একতাবদ্ধ, সেহেতু এগুলো খুঁজে বের করা খুব বেশি কঠিন হবে না," হাসিনা আজ জাতীয় সংসদে এই কথাগুলি বলেছেন।
"যারা এই হামলাকারীদের মদদ দিয়েছে। তাদেরকে আমাদের খুঁজে বার করতে হবে," উনি বলেন।
জুলাই ১ গুলশানের রেস্তোরাঁ হামলায় ২০ জন ব্যাক্তি প্রাণ হারিয়েছেন।
নিহতদের মধ্যে ১৭ বিদেশি আছেন।
যদিও এই হামলার দায় স্বীকার করেছে ইসলামিক স্টেট জঙ্গি সংঘটন।
তবে দেশের পুলিশ বলেছে এর পেছনে আছে জেএমবি ও সমমনা দেশীয় জঙ্গিরা।
হামলার পরে, ১২ ঘণ্টা ধরে অভিযান চালিয়ে কমান্ডোরা রেস্তোরাঁটি নিয়ন্ত্রণে আনেন।