Bangladesh
ভবন ধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩০৪
ঢাকা, এপ্রিল ২৬: আরো ৭২জন মানুষকে শুক্রবার জীবন্ত টেনে বের করা হয় ভূমিসাৎ সাভার ভবনের ধ্বংসাবশেষ থেকে। এখনো পর্যন্ত ভবন ধসে মৃতের সংখ্যা ৩০৪।
বুধবার ঢাকার সাভার এলাকায় একটি নয়তলা বাড়ি - রানা প্লাজা - ভেঙে পড়ে।
শুক্রবারেও চলতে থাকে উদ্ধারকার্য।
শাহিনুর ইসলাম, ইন্টার সার্ভিসেস জন সম্পর্ক পরিচালক, জানান এখনো পর্যন্ত ২৮১ মৃতদেহ তাদের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
"এই দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন মোট ২,৩৪৮জন - তাদের মধ্যে ৩০৪জন মৃত ও ২০৪৪জন জীবিত ব্যাক্তিদের ধ্বংসাবশেষ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে," ইসলাম জানান।
"সরকারের আদেশ অনুযায়ী মানুষের জীবন বাঁচানো আমাদের প্রধান কর্তব্য। আমরা ততক্ষণ উদ্ধারকার্য চালাবো যতক্ষণ না শেষ মানুষটিকে আমরা টেনে বের করছি," তিনি বলেন।
"আমাদের কাছে জরুরী সব যন্ত্রপাতি আছে। আমরা সেগুলির যথাযত প্রয়োগ করছি," ইসলাম বলেন।
ইতিমধ্যে, সাভার বিল্ডিং ভেঙে পড়ার ঘটনায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বুধবার রাতে সাভার থানায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়।
রানা প্লাজার মালিক সহেল রানাকে দুটি মামলাতেই দোষী হিসেবে ব্যাক্ত করা হয়েছে, জানান সাভার থানার সহকারী সাব-ইন্সপেক্টর মোঃ জামিল আহমেদ।
রাজধানী উন্নয়ন কতৃপক্ষের অনুমোদিত কর্মকর্তা হেলালুদ্দিন রানার বিরুদ্ধে একটি কেস ফাইল করে বিল্ডিংটির গঠনমূলক ত্রুটির ও সেটি নিকৃষ্ট মানের উপকরণ ব্যবহার করে এবং বিল্ডিং কোড লঙ্ঘন করে তৈরি করার অভিযোগে।
সাভার থানার সাব-ইন্সপেক্টর ওয়ালি আশরাফ দ্বিতীয় মামলাটি দায়ের করেন রানা, রানার পিতা আবদুল খালেক ও রানা প্লাজায় অবস্থিত পাঁচটি বস্ত্র কারখানার মালিকদের বিরুদ্ধে মানুষের প্রাণসংশয় ও সম্পত্তি ধ্বংসের অভিযোগে।
বস্ত্র কারখানার মালিকদের নাম এখনো জানা যায় নি।
রানা প্লাজায় একটি বাজার, অনেক কয়টি বস্ত্র কারখানা ও ব্রাক ব্যাঙ্কের একটি শাখা আছে।
বাড়িটি বুধবার সকাল পৌনে নয়টা নাগাদ ভেঙে পড়ে।