Bangladesh

সাভার ভবন ধস একটি খুনঃ ইনু

সাভার ভবন ধস একটি খুনঃ ইনু

| | 26 May 2013, 06:51 am
ঢাকা, এপ্রিল ২৬: তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু শুক্রবার বলেন সাভার ট্র্যাজেডি একটি খুনের ঘটনা।

 "আমি এটাকে দুর্ঘটনা বলব না। আমি এটাকে খুন বলব," ইনু সাংবাদিকদের বলেন।

 
  "এটা একটি গুরুতর অপরাধ যে কোন নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং নিয়মকানুন না মেনেই রানা প্লাজায় সব কারখানাগুলি চলছিল," ইনু বলেন।
 
"এই খুনের জন্য কারখানাগুলির মালিকরাও দায়ী," তিনি বলেন।
 
"যারা এই ঘটনায় দায়ী, তারা যত নামী ব্যাক্তিই হন না কেন বা তাদের যোগাযোগ কোন রাজনৈতিক দলের সাথে থাকুক না কেন, তাদের জেলে যেতেই হবে," ইনু বলেন।
 
সাভারে ভবন ধসের দুই দিন পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুক্রবার রানা প্লাজার মালিক ও চারটি বস্ত্র কারখানার মালিকদের গ্রেফতারের নির্দেশ দেন।
 
"এই নির্দেশ সব আইন সংস্থাগুলিতে পাঠানো হয়ে গেছে," জানান  প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী (মিডিয়া) মাহবুবুল হক শাকিল।
 
শাকিল জানান পুলিশ ইতিমিধ্যেই তাদের অপারেশন শুরু করেছে ভবন ধসের জন্য দায়ী ব্যাক্তিদের গ্রেফতার করার জন্যে।
 
প্রধানমন্ত্রীর এই নির্দেশের কিছু ঘণ্টা আগেই রানা প্লাজার মালিক সহেল রানার দুই আত্মীয়কে তাদের গ্রাম মানিকগঞ্জ থেকে আটক করা হয়েছে।
 
আরো ৭২জন মানুষকে শুক্রবার জীবন্ত টেনে বের করা হয় ভূমিসাৎ সাভার ভবনের ধ্বংসাবশেষ থেকে। এখনো পর্যন্ত ভবন ধসে মৃতের সংখ্যা ৩০৪।
 
বুধবার ঢাকার সাভার এলাকায় একটি নয়তলা বাড়ি - রানা প্লাজা - ভেঙে পড়ে।
 
শুক্রবারেও চলতে থাকে উদ্ধারকার্য। 
 
শাহিনুর ইসলাম, ইন্টার সার্ভিসেস জন সম্পর্ক পরিচালক, জানান এখনো পর্যন্ত ২৮১ মৃতদেহ তাদের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
 
"এই দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন মোট ২,৩৪৮জন - তাদের মধ্যে ৩০৪জন মৃত ও ২০৪৪জন জীবিত ব্যাক্তিদের ধ্বংসাবশেষ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে," ইসলাম জানান।
 
"সরকারের আদেশ অনুযায়ী মানুষের জীবন বাঁচানো আমাদের প্রধান কর্তব্য। আমরা ততক্ষণ উদ্ধারকার্য চালাবো যতক্ষণ না শেষ মানুষটিকে আমরা টেনে বের করছি," তিনি বলেন।
 
"আমাদের কাছে জরুরী সব যন্ত্রপাতি আছে। আমরা সেগুলির যথাযত প্রয়োগ করছি," ইসলাম বলেন।
 
ইতিমধ্যে, সাভার বিল্ডিং ভেঙে পড়ার ঘটনায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। 
 
বুধবার রাতে সাভার থানায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়। 
 
রানা প্লাজার মালিক সহেল রানাকে দুটি মামলাতেই দোষী হিসেবে ব্যাক্ত করা হয়েছে, জানান সাভার থানার সহকারী সাব-ইন্সপেক্টর মোঃ জামিল আহমেদ।
 
রাজধানী উন্নয়ন কতৃপক্ষের অনুমোদিত কর্মকর্তা হেলালুদ্দিন রানার বিরুদ্ধে একটি কেস ফাইল করে বিল্ডিংটির গঠনমূলক ত্রুটির ও সেটি নিকৃষ্ট মানের উপকরণ ব্যবহার করে এবং বিল্ডিং কোড লঙ্ঘন করে তৈরি করার অভিযোগে।
 
সাভার থানার সাব-ইন্সপেক্টর ওয়ালি আশরাফ দ্বিতীয় মামলাটি দায়ের করেন রানা, রানার পিতা আবদুল খালেক ও রানা প্লাজায় অবস্থিত পাঁচটি বস্ত্র কারখানার মালিকদের বিরুদ্ধে মানুষের প্রাণসংশয় ও সম্পত্তি ধ্বংসের অভিযোগে। 
 
 বস্ত্র কারখানার মালিকদের নাম এখনো জানা যায় নি। 
 
রানা প্লাজায় একটি বাজার, অনেক কয়টি বস্ত্র কারখানা ও ব্রাক ব্যাঙ্কের একটি শাখা আছে।
 
বাড়িটি বুধবার সকাল পৌনে নয়টা নাগাদ ভেঙে পড়ে।