Bangladesh
উৎসবে, আনন্দে বরন করা হল নববর্ষকে
ঢাকা, এপ্রিল ১৫- জাঁকজমক আর উৎসবের মধ্যে দিয়ে বাংলা নতুন বছর ১৪২১ উদ্যাপন করা হল সারা বাংলাদেশে।
রাজধানীতে রমনা বটমূল এবং অন্যান্য জায়গায় মঞ্চ বেঁধে বাঙ্গালির সব থেকে বড় উৎসব-- পয়লা বৈশাখ পালনে অংশ নিলেন হাজার হাজার মানুষ।
সূর্যোদয়ের ঠিক পরেই রমনা উদ্যানের বট গাছের নিচে প্রতিবারের মতই জড়ো হয়েছিলেন হাজার হাজার মানুষ। নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়ে সেখানে সঙ্গীত শিল্পীরা গাইলেন, "এসো হে বৈশাখ।" সকাল বেলাতেই পয়লা বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হয় ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি অফ ফাইন আর্টস ভবনের সামনে থেকে।
উৎসবে অংশ নেওয়া মানুষ দলে দলে ভীড় করেছিলেন বৈশাখ মেলায়--অংশ নেন সেখানকার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে এবং চেখে দেখেন পয়লা বৈশাখের বিশেষ পান্তা ভাত, ভাজা ইলিশ, ডাল এবং লঙ্কা পোড়া।
বাংলা বছরের প্রথম মাস হিসেবে বৈশাখের আবির্ভাব ১৫৫৬ থেকে ১৬০৫ খ্রিস্টাব্দ অবধি চলা মুঘল সম্রাট আকবরের শাসনকালে।
নতুন বছর শুরু হওয়ার আগের দিনই প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের মানুষকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন। পৃথক বার্তায় তাঁরা দেশের মানুষের শান্তি, আনন্দ এবং সমৃদ্ধি কামনা করেন। এন পি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াও অভিনন্দন জানিয়েছেন দেশবাসীকে।
রাজধানীতে এবং দেশের অন্যান্য জায়গায় বিভিন্ন সামাজিক-রাজনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান গান বাজনার আসর, বর্নাঢ্য শোভাযাত্রা, বৈশাখী মেলা প্রভৃতির আয়োজন করে। বাংলাদেশ স্মল অ্যান্ড কটেজ ইন্ডাস্ট্রিজকে সঙ্গে নিয়ে বাংলা অ্যাকাডেমি আয়োজন করেছে দশ দিনের একটি বৈশাখী মেলার এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের। এই দিনটি পালনের উদ্দেশ্যে খেলাঘর ঢাকা এবং জাতীয় প্রেস ক্লাবও নিজেদের অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।