Bangladesh

Abrar was beaten badly

Abrar was beaten badly

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 13 Oct 2019, 10:36 am
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, অক্টোবর ১৩ : বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে দুই দফায় স্টাম্প দিয়ে শতাধিক আঘাতে হত্যা করেন বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক (বহিষ্কৃত) অনিক সরকার অপু। আবরার ঘত্যাকান্ডে নিজের সম্পৃক্ততা ও অন্য আসামিদের নাম প্রকাশ করে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন অনিক। এছাড়া ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতেও স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

শনিবার অনিক সরকারকে ঢাকা মহানগর হাকিম আতিকুল ইসলামের আদালতে হাজির করে পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ওয়াহিদুজ্জামান ১৬৪ ধারায় তার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি গ্রহণের আবেদন করেন। আদালত তার জবানবন্দি গ্রহণপূর্বক কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন। আবেদনে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসব কথা উল্লেখ করেন।


তদন্তকারী কর্মকর্তা আবেদনে উল্লেখ করেন, মামলার আসামি ইফতি মোশাররফ সকাল ও মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে অনিক সরকার অপুর নাম প্রকাশ করেন। পুলিশ রিমান্ডে অনিক সরকার অপু স্বীকার করেন যে, সে ঘটনার সময় দুই দফায় স্টাম্প দিয়ে আবরার ফাহাদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে শতাধিক আঘাত করেন।


এর আগে মঙ্গলবার অনিক সরকারকে পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড চলাকালে আজ তাকে আদালতে হাজির করে জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন।


ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেয়ার জেরে বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে রোববার (৬ অক্টোবর) রাতে ডেকে নিয়ে যায় বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেুাকর্মী। এরপর রাত তিনটার দিকে শেরেবাংলা হলের নিচতলা ও দোতলার সিঁড়ির করিডোর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।


গত সোমবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে আবরারের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়।

ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ মরদেহের ময়নাতদন্ত করেন। তিনি বলেন, ‘ছেলেটিকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।’ নিহত আবরার বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি শেরেবাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন।